ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইসলাম

ভিসা পাননি ৩৫ হাজার হজযাত্রী, শেষ সময় ৭ আগস্ট

ইয়াসির আরাফাত রিপন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০১৮
ভিসা পাননি ৩৫ হাজার হজযাত্রী, শেষ সময় ৭ আগস্ট অপেক্ষারত কয়েকজন হজযাত্রী/ফাইল ফটো

ঢাকা: চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৬ হাজার ৭৯৮ জনের হজব্রত পালনের উদ্দেশে সৌদি আরব যাওয়ার কথা রয়েছে। ইতোমধ্যে সৌদি এয়ারলাইন্স ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মোট ১৫৪টি ফ্লাইটে ৫৫ হাজার ৭২৪ জন যাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। তবে সৌদি দূতাবাস থেকে ভিসা পাওয়া গেছে ৯১ হাজার ২১৮টি। ভিসা হতে বাকি এখনও ৩৫ হাজার ৫৫০ জনের। এজন্য টিকিট সংগ্রহ করতে পারছেন না তারা।

সৌদি দূতাবাস ৭ আগস্টের পর আর কোনো ভিসা দেবে না বলে আগেই ঘোষণা দিয়ে রেখেছে। এ নিয়ে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

হজ অফিস সূত্রে জানা যায়, ভিসার জন্য ডিও ইস্যু করা হয়েছে ৯৪ হাজার ৬৪ জনের। এর মধ্যে বেসরকারি ৮৭ হাজার ৫৭৮ জন ও সরকারি ৬ হাজার ৪৮৬ জনের। এর মধ্যে সৌদি দূতাবাস থেকে ৯১ হাজার ২১৮টি ভিসা পাওয়া গেছে। এর মধ্যে সরকারি ভিসা ৬ হাজার ৪৮৬টি এবং বেসরকারি ভিসা ৮৪ হাজার ৭৩২টি। এখনও ৩৫ হাজার ৫৫০ জনের কোনো ডিও ইস্যু হয়নি।  

অন্যদিকে শনিবার (২৮ জুলাই) হজযাত্রীদের পরিবহনের জন্য সৌদি এয়ারলাইন্স ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ১০টি ফ্লাইট পরিচালনা করা হচ্ছে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত দুই এয়ারলাইন্সের দু’টি ফ্লাইট ঢাকা থেকে সৌদি আরবের জেদ্দার উদ্দেশে রওয়ানা দিয়েছে। শুক্রবার পর্যাপ্ত সংখ্যক যাত্রী না পাওয়ায় বাতিল করা হয়েছে দু’টি ফ্লাইট।  

ঢাকা হজ অফিসের পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আমরা সব এজেন্সিকে বলেছি তারা যেনো দ্রুত ভিসা সংগ্রহ করেন। বারবার এজেন্সিগুলোকে তাগিদ দেওয়া হয়েছে। কারণ আগামী ৭ আগস্টের পর আর কোনো ভিসা দেবে না সৌদি দূতাবাস। এখনও অনেকে সাড়া দেননি। শুক্রবার দূতাবাসের ছুটির দিন হওয়ায় আমরা কিছু ভিসার আবেদন পাঠাতে পারিনি, যেগুলো আজ চলে গেছে। এজেন্সির ভালো সাড়া পেলে আশা করি দূতাবাসের বেঁধে দেওয়া সময়ের আগেই ভিসার কাজ শেষ হবে। আর যদি কোনো এজেন্সি সাড়া না দেয় তাহলে হয়তো তার হজযাত্রীদের এবার যাওয়া হবে না।

হজ এজেন্সি অব বাংলাদেশের (হাব) মহাসচিব শাহাদাত হোসাইন তসলিম বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের অনেক এজেন্সি এখনও রিপ্লেসমেন্টের পর কাগজ হাতে পায়নি। অনেক এজেন্সি এখনও সৌদি আরবে আছে, সেখানে তারা হজের আনুষঙ্গিক কাজ শেষ করছে। তারা আজকাল এলেই ডিও ইস্যু করবে। তাছাড়া এ কাজটি চলমান। অনেক হজযাত্রী ইতোমধ্যে সৌদি আরবে চলে গেছেন। গত বছরের মতো কোনো পরিবেশ এবার হবে না। সব হজযাত্রীই এবছর হজ পালনে সৌদি যাবেন।  

চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনের উদ্দেশে সৌদি যাবেন ৬ হাজার ৭৯৮ জন। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ১ লাখ ২০ হাজার। এবার বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫২৮টি এজেন্সি হজের কার্যক্রম পরিচালনা করছে।  

যাত্রীদের বহনের জন্য আগেই ঠিক করে রাখা হয় বিমান বাংলাদেশ ও সৌদি এয়ারলাইন্স। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ১৮৭টি ফ্লাইটে ৬৪ হাজার ৯৬৭ জন এবং সৌদি এয়ারলাইন্সের ১৮৮টি ফ্লাইটে ৬১ হাজার ৮৩১ জন যাত্রী পরিবহন করবে। হজের শেষ ফ্লাইট ঢাকা থেকে ছেড়ে যাবে ১৫ আগস্ট। আর হজ পালন শেষে ২৭ আগস্ট প্রথম ফিরতি ফ্লাইট জেদ্দা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩২ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০১৮
ইএআর/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।