ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইসলাম

অক্টোপাস শামুক ঝিনুক খাওয়া জায়েজ?

ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১৯
অক্টোপাস শামুক ঝিনুক খাওয়া জায়েজ? ছবি : প্রতীকী

প্রশ্ন: খাবারসামগ্রী হিসেবে বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে অক্টোপাস, শামুক, ঝিনুক, স্কুইড ইত্যাদি এখন সহজলভ্য। এসব খাওয়া জায়েজ আছে? এগুলো সম্পর্কে ইসলামের নির্দেশনা কী?

উত্তর: মাছ ছাড়া অন্য কোনো জলজ প্রাণী খাওয়া জায়েয নেই। আর যেহেতু অক্টোপাস, স্কুইড (সামুদ্রিক বিশেষ প্রাণী), শামুক, ঝিনুক ইত্যাদি মাছ নয়, তাই এগুলো খাওয়াও নাজায়েজ।

(ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৩/১১৪; আল-বাহরুর রায়েক: ৮/৪৮৫; হাশিয়ায়ে তাহতাবি: ৪/৩৬০ ইমদাদুল ফাতাওয়া: ৪/১১৮)

প্রথমত এগুলো কোরআনে বর্ণিত ‘খাবায়েস’ (নোংরাবস্তু) এর অন্তর্ভুক্ত। সুরা আলআরাফ আল্লাহ তাআলা এগুলোকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন। ‘খাবায়েস’ বলা হয়, যা মানুষ স্বভাবগত ঘৃণা করে। (দ্রঃ তাফসিরে কাবির, আদওয়াউল বায়ান, আল-লুবাব, আলহাবি সংশ্লিষ্ট আয়াত)।  

আর মাছ ছাড়া অন্যান্য জলজ প্রাণী রুচিশীল মানুষ স্বভাবতই ঘৃণা করে। সুতরাং সেগুলোও কোরআনের হুকুম অনুযায়ী নিষিদ্ধ।

দ্বিতীয়ত রাসুল (সা.) ও সাহাবায়ে কেরাম এ ধরনের জলজ প্রাণী খেয়েছেন বলেও কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় না। উপরন্তু আব্দুর রহমান বিন উসমান (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, ‘রসুল (সা.) জনৈক চিকিৎসককে ব্যাঙ মেরে ওষুধ বানাতে নিষেধ করেছিলেন। ’ (আবু দাউদ, হাদিস নং: ৩৮৭১)

তৃতীয়ত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমাদের জন্য দুই প্রকারের মৃত জীব ও দুই ধরনের রক্ত হালাল করা হয়েছে। মৃত জীব দুইটি হলো মাছ ও ফড়িং এবং দুই ধরনের রক্ত হলো কলিজা ও প্লীহা। (ইবনে মাজাহ, হাদিস নং : ৩৩১৫; মুসনাদ আহমাদ, হাদিস নং: ৫৬৯০, দারাকুতনি, হাদিস নং : ৪৬৮৭, শারহুস সুন্নাহ, হাদিস নং : ২৮০৩)

ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৯
এমএমইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।