জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়। কিন্তু সকাল ৬টা থেকে ঈদগাহ ময়দানে আসতে শুরু করেন মুসল্লিরা।
ঈদের প্রধান এই জামাতে অংশ নেবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, মন্ত্রিসভার সদস্যরা, তিন বাহিনীর প্রধান, সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদ, সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তারা।
নামাজে ইমামতি করবেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের জৈষ্ঠ পেশ ইমাম মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান।
এদিকে জাতীয় ঈদগাহের প্রবেশপথে বসানো হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। একাধিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে তল্লাশি শেষে সারিবদ্ধ ভাবে ঈদগাহ ময়দানে প্রবেশ করছেন মুসল্লিরা। পুরুষের পাশাপাশি কয়েক হাজার নারীও এখানে নামাজ আদায় করবেন।
পুরো এলাকা সিসি ক্যামেরার পাশাপাশি এসএসএফ, পুলিশ, র্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারিতে রয়েছে।
এদিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছিল। ফলে মুসল্লিরা প্রবেশ করতে কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে।
জাতীয় ঈদগাহে যারা গাড়ি নিয়ে নামাজ পড়তে যাবেন, তাদের গাড়ি রাখার জন্য মৎস্য ভবন থেকে শাহবাগ, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের ভেতরে, শিল্প একাডেমির সামনের রাস্তা, দোয়েল চত্বরে ব্যারিকেডের বাইরে, ফজলুল হক হলের ব্যারিকেডের বাইরে ও প্রেসক্লাব লিংক রোড ব্যারিকেডের বাইরে স্থান নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ব্যবস্থাপনায় ৩০২টি স্থানে এবার ঈদের জামাত হবে। অন্যদিকে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৫৭টি ওয়ার্ডে ২২৮টি জামাতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার প্রতিটি ওয়ার্ডে পাঁচটি করে জামাত হবে। স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলররা এসব জামাতের ব্যবস্থাপনায় থাকবেন।
ঈদ জামাত ঘিরে জাতীয় ঈদগাহের নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। ঈদগাহ ময়দানে নেওয়া হয়েছে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় জায়নামাজ ও ছাতা ছাড়া অন্য কিছু সঙ্গে না নিতে মুসল্লিদের পরামর্শ দিয়েছে ঢাকার মহানগর পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ০৮১১ ঘণ্টা, জুন ৫, ২০১৯
টিএম/এএটি