ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইসলাম

প্রথমবারের মতো মিনায় হাজিদের জন্য বহুস্তরের তাঁবু

ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৬ ঘণ্টা, জুলাই ৭, ২০১৯
প্রথমবারের মতো মিনায় হাজিদের জন্য বহুস্তরের তাঁবু মিনায় হাজিদের জন্য স্থাপিত বহুস্তরের তাঁবু। ছবি: সংগৃহীত

এ বছর পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাব্য তারিখ ০৯ আগস্ট থেকে ১৪ আগস্ট। বৃহস্পতিবার (০৪ জুলাই) বিভিন্ন দেশ থেকে হজযাত্রীদের বহর সৌদি যেতে শুরু করেছে। বাংলাদেশ থেকে এ মৌসুমের হজের উদ্বোধনী ফ্লাইট বাংলাদেশ থেকেই সৌদি আরবে গেছে। সৌদি কর্তৃপক্ষ তাদের ফুলেল অভ্যর্থনায় সাদরে বরণ করে নিয়েছে।

প্রতিবছর হজের সময়ে হাজিদের মিনার ময়দানে অবস্থান করা সুন্নত। জিলহজের ৮ তারিখে মিনার ময়দানের সারি সারি তাঁবুগুলো হাজিদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে।

হাজিদের শ্বেত-সাদা ইহরামের সঙ্গে তাঁবুগুলোর তুষার শুভ্রতায় ভিন্ন রকম আবহ তৈরি হয়।

এবার হজ মৌসুমের সময় মিনাতে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বহু স্তরের তাঁবু স্থাপন করা হবে, বাসস্থানের ক্ষমতা বিভিন্ন ধরনের সুবিধার পাশাপাশি হাজিদের ধারণ ক্ষমতাও বাড়ে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে এমনটাই জানা গেছে।

তাঁবু স্থাপনবিষয়ক ব্যবস্থাপনা চেয়ারম্যান আব্বাস কাত্তান বলেন, হাজিদের সেবার পরিমাণ বাড়াতে সরকারিভাবে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ভিশন-২০৩০ সামনে রেখে এসব প্রচেষ্টা চলছে। তন্মধ্যে তাঁবু বহুস্তরকরণ ও তাঁবুর আশপাশে বড়সড়ো ফাঁকা জায়গা রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।

>>আরো পড়ুন: বাংলাদেশি হাজিদের ফুলেল অভ্যর্থনা জানালো সৌদি

কাত্তানের ভাষ্যে জানা যায়, পরিকল্পনা অনুযায়ী নীচতলা শ্রমিকদের আবাসনের জন্য ও খাদ্য সরবরাহের জন্য ব্যবহার করা হবে। অন্যদিকে ওপরের তলাগুলো হজযাত্রীদের অবস্থানের জন্য ব্যবহার করা যাবে। এ পরিকল্পনাটির মাধ্যমে প্রতিটি তাঁবুতে আটজন হাজির জন্য অতিরিক্ত বাসস্থানের ব্যবস্থা হবে। পাশাপাশি তাঁবুগুলো আগুন-প্রতিরোধক এবং স্থাপন করা ও গুটানো খুবই সহজ হবে।

হজ ইসলামের অন্যতম রুকন বা স্তম্ভ। এতে আর্থিক ও দৈহিক ইবাদতের সমন্বয় রয়েছে।  যাদের যাবতীয় সামর্থ্য রয়েছে, তাদের জন্য হজ আদায় ফরজ। এ ক্ষেত্রে সমগ্র উম্মত একমত। ইসলামী শরিয়তে বর্ণিত বিশেষ পদ্ধতিতেই তা পালন করতে হয়।

আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন, আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘এতে (কাবা) রয়েছে মাকামে ইবরাহিমের মতো প্রকৃষ্ট নিদর্শন। আর যে ব্যক্তি এর ভেতরে প্রবেশ করেছে, সে নিরাপত্তা লাভ করেছে। আর এ ঘরের হজ আদায় হলো মানুষের ওপর আল্লাহর প্রাপ্য; এখানে পৌঁছার যার সামর্থ্য রয়েছে। আর যে ব্যক্তি তা মানে না; আল্লাহ সারা বিশ্বের কোনো কিছুরই পরোয়া করেন না। ’ (সুরা আলে-ইমরান, আয়াত: ৯৭)

হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য হজ আদায় করে এবং সেখানে যাবতীয় মন্দ কাজ ও কথা থেকে বিরত থাকে, সে সদ্য ভূমিষ্ঠ সন্তানের মতো গুনাহমুক্ত হয়ে ফিরবে ‘ (বুখারি, হাদিস নং: ১৪২৪)

ইসলাম বিভাগে আপনিও লিখতে পারেন। লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০১৯
এমএমইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।