ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইসলাম

পবিত্র হজের প্রাচীন-দুর্লভ ২৫টি ছবি

ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৫৭ ঘণ্টা, আগস্ট ৮, ২০১৯
পবিত্র হজের প্রাচীন-দুর্লভ ২৫টি ছবি ১৯৫৩ সালের হজ মৌসুমে কাবা শরিফ তাওয়াফের দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত

হজ মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, সংহতি ও সাম্যের সপ্রতিভ প্রতীক। ইসলামের অন্যতম স্তম্ভও বটে। হজে আর্থিক ও কায়িক শ্রমের সমন্বয় রয়েছে। অন্য কোনো  ইবাদতে যা একসঙ্গে পাওয়া না যায় না। প্রতিবছর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ২০ থেকে ২৫ লাখ মানুষ পবিত্র হজ পালনে সৌদি গমন করেন। সেখানে গিয়ে তারা আল্লাহপ্রেমের পাঠ চুকিয়ে রাসুলপ্রেমের ষোলকলা পূর্ণ করেন। মহা সৌভাগ্য ও পুণ্যের এই মিছিলে বাংলাদেশি হাজিরাও শামিল হন।

হজরত নুহ (আ.)-এর যুগে মহাপ্লাবনের পর আল্লাহ তাআলার নির্দেশক্রমে হজরত ইবরাহিম (আ.) যখন আবার কাবাঘর নির্মাণ করলেন, তখন আল্লাহ তাআলা তাঁকে হুকুম করেন, ‘মানুষের মধ্যে হজের ঘোষণা দিন। তারা আপনার কাছে হেঁটে এবং সব ধরনের কৃশকায় উটের পিঠে আরোহণ করে দূরদূরান্ত থেকে আসবে।

’ (সুরা : হজ, আয়াত : ২৭)

অধিকাংশ হজযাত্রী মক্কায় যেতেন নৌপথে।  কিন্তু বিমানপথে যাত্রাও ছিল।                                          তবে এখনকার মতো স্বাভাবিক না। হজরত ইবরাহিম (আ.)-এর সেই ঐতিহাসিক ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে তখন বিশ্বের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আল্লাহপ্রেমী মানুষেরা কাবা পানে ছুটে আসতে লাগল। ধীরে ধীরে তা পরিণত হলো আল্লাহপ্রেমী মানুষদের মিলনকেন্দ্রে। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘আমি বাইতুল্লাহকে মানুষের মিলনস্থল ও নিরাপদ স্থান বানিয়েছি। ’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১২৫)

হজযাত্রী পরিবহনে বাসচলাচল।  ছবি: সংগৃহীতসামর্থ্যবান প্রত্যেক মুসলমানের জন্য আল্লাহ তাআলা তাওহিদের এই কেন্দ্রভূমিতে এসে ধরনা দেওয়া বাধ্যতামূলক করে দিয়েছেন। হজ-ওমরাহর উদ্দেশ্যে এই পবিত্র ভূমিতে আসা প্রত্যেককেই দ্ব্যর্থহীন স্বরে ঘোষণা করতে হয়—‘হাজির! প্রভু, আমি হাজির! তোমার কোনো অংশীদার নেই। সমস্ত প্রশংসা, নিয়ামত আর কর্তৃত্বের একচ্ছত্র অধিকারী একমাত্র তুমিই। তোমার কোনো শরিক নেই। ’

ফেরী থেকে জেদ্দা সমুদ্রবন্দরে অবতরণ করছেন হজযাত্রীরা।  ছবি: সংগৃহীতহজযাত্রা প্রাচীনকাল থেকে বিভিন্ন রকম ছিল। কালের পরিক্রমায় জীবনযাত্রার মতো হজ-সফরেও এসেছে পরিবর্তন। এছাড়াও হজের স্থানগুলোর দৃশ্য-প্রেক্ষাপটেও এসেছে, বৈচিত্র-সৌন্দর্য, আধুনিকায়ন ও সুযোগ-সুবিধা। তাই এখন আগের স্থির চিত্রগুলো দর্শকের মনে আশ্চর্যের দোলা দেয়। পুরোনো দিনের পুলন-শিহরণ নতুন করে জাগিয়ে তোলে।

বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য ১৯৫৩ সালের হজ পালনের চমৎকার ও দুর্লভ ২৫টি ছবি। স্থান, পরিক্রমা ও ক্যাপশনসহ...

নারী হজযাত্রী পরিবহনে পালকী-সদৃশ ব্যবস্থা।  ছবি: সংগৃহীতমসজিদুল হারামের বাইরের আঙিনা।  ছবি: সংগৃহীতমসজিদুল হারামের বাইরের আঙিনা ও পবিত্র কাবা শরিফের দরজার দৃশ্য।  ছবি: সংগৃহীতকাবা শরিফের তাওয়াফ করছেন হাজি সাহেবরা।  ছবি: সংগৃহীতমিনার ময়দানে আগুন জ্বালিয়ে রান্না করছেন হাজিরা।  পেছনে তাঁবুর সারি।  ছবি: সংগৃহীতমিনায় কোরবানির পশুর বাজার।  ছবি: সংগৃহীতকোরবানির পশু নির্বাচন করছেন হজযাত্রীরা।  ছবি: সংগৃহীতআরাফাতের ময়দানের তখনকার দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত

জামারায় পাথর নিক্ষেপ করছেন হাজি সাহেবরা।  ছবি: সংগৃহীতপাহাড়ের কোলে তখনকার মক্কা নগরীর অবস্থান।  ছবি: সংগৃহীতপবিত্র মক্কা নগরীতে বাজার-মার্কেট।  ছবি: সংগৃহীতমক্কার হাটে সদাই বিক্রি করছেন বিক্রেতা।  ছবি: সংগৃহীতকাবা শরিফ ও মসজিদুল হারামের দৃশ্য।  ছবি: সংগৃহীতবালুতে জায়নামাজ বিছিয়ে নামাজ আদায় করছেন কয়েকজন হাজি।  অন্যদিকে উটেদের বিশ্রাম।  ছবি: সংগৃহীতহজ-ওমরাহ শেষে মাথা মুণ্ডাচ্ছেন এক হাজি।  ছবি: সংগৃহীত

ইসলাম বিভাগে আপনিও লিখতে পারেন। লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০১৯
এমএমইউ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।