ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইসলাম

কাজাখস্তানে নারীদের কোরআন প্রতিযোগিতা

ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৯
কাজাখস্তানে নারীদের কোরআন প্রতিযোগিতা কাজাখস্তানে নারীদের কোরআন প্রতিযোগিতা। ছবি: সংগৃহীত

কাজাখস্তানে নারীদের কোরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিযোগিতাটি আয়োজন করেছে, কাজাখস্তানের মুসলিম নৈতিক বিষয়ক বিভাগের সামাজিক সম্পর্ক ও দাওয়াহ বিভাগ। এ প্রতিয়োগিতার নাম ‘ইয়াসিন কোরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিত’।

এছাড়াও কাজাখস্তানের সবচেয়ে বড় শহর আলমাতির কেন্দ্রীয় মসজিদের সহযোগিতায় আলমাতি ও পাভলদার শহরে কোরআন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই দুইটি প্রতিযোগিতাও নারীদের জন্য নির্ধারিত ছিল।

প্রতিযোগিতার তত্ত্বাবধান করেছে আলমাতির মুসলিম নৈতিকতা পর্যবেক্ষণ বিভাগ।

প্রতিবছর আলমেতির কেন্দ্রীয় মসজিদ-কর্তৃপক্ষ নারীদের জন্য বিশেষ কোরআন কোর্স আয়োজন করে থাকে। এতে করে কাজাখস্তানে বিশুদ্ধ কোরআনচর্চা প্রসিদ্ধি লাভ করছে।

কাজাখস্তানে চলছে ডিজিটাল কোরআন প্রদর্শনী
কিছুদিন আগে কাজাখস্তানে যাত্রা শুরু করেছে ‘মিউজিয়াম অব ইসলামিক কালচার’। এতে পবিত্র কোরআনের ডিজিটাল কপির প্রদর্শনীতে চলছে। এটির সাহায্যে দর্শনার্থীরা বিভিন্ন ভাষায় কোরআনের অনুবাদ পাঠের সুযোগ পাচ্ছেন। বিশেষত ইংরেজি, কাজাখ ও রুশ ভাষায় কোরআনের অনুবাদ ও ব্যাখ্যা পড়ে উপকৃত হতে পারছে দর্শনার্থীরা।

কাজাখস্তানে চলছে ডিজিটাল কোরআন প্রদর্শনী।  ছবি: সংগৃহীতজাদুঘরটি গত কোরবানির ঈদের সময় উদ্বোধন করা হয়েছে। এই অঞ্চলের প্রাচীন অনেক নিদর্শন এতে স্থান পেয়েছে। বিশেষত কাজাখ মুসলিমদের ইতিহাস-ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়েছে।

কাজাখস্তান ও ইসলাম
কাজাখস্তান মধ্য এশিয়ার একটি প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র। এটি বিশ্বের নবম বৃহত্তম দেশ এবং বৃহত্তম স্থলবেষ্টিত রাষ্ট্র।

কাজাখস্তানের সবচেয়ে বড় শহর আলমাতি। তবে দেশের উত্তরাংশে অবস্থিত আস্তানা দেশটির রাজধানী। এ দেশের ৭০ শতাংশ মানুষ ইসলাম ধর্মানুসারী।

কাজাখস্তানের মুসল্লিদের নামাজ আদায়।  ছবি: সংগৃহীত১৮৭০ থেকে ১৯৭৬ সালের মধ্যবর্তী সময়ে রাশিয়া কাজাখস্তান দখল করে নেয়। পরবর্তীতে ১৯১৭ সালে ক্রেনোস্কির নেতৃত্বে ডেমোক্র্যাটরা রাশিয়ার জারের পতন ঘটায়। কিন্তু তাদের ক্ষমতা সংহত হওয়ার আগে ওই বছরই আবার বিপ্লব হয়। জারের অধীনে ১৯১৭ সাল পর্যন্ত কাজাখস্তান ছিল। এরপর কমিউনিজমের অধীনে ছিল ১৯৯১ সালের স্বাধীনতার আগ পর্যন্ত।

কাজাখস্তানে যত মসজিদ
কাজাখস্তানে দেড় হাজারের মতো মসজিদ আছে। বড় বড় শহরগুলোতে মুসলমানদের ধর্মীয় বিষয়াদী দেখভাল করতে ইমাম রয়েছেন। তিনি প্রধান ইমাম নামে পরিচিত। তাকে ‘ইমামে শহর’ বলা হয়।  

এক সময় কাজাখস্তানে ইসলাম নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু এখন অবস্থা বদলেছে। ধীরে ধীরে মানুষ ইসলামচর্চায় আগ্রহী ও মনোযোগী হচ্ছে। তারা এখন ইসলামকে গভীরভাবে ভালোবাসে। নিজেদের আইডেন্টিটির তারা ব্যাপারে সচেতন। কাজাখ ও মুসলিম—মিশ্র অনুভূতি তাদের মাঝে বিদ্যমান। মুসলিম-অমুসলিমদের সহাবস্থানও এটাই প্রমাণ করে।

দেশটির ২০ শতাংশ মুসলমান নামাজ পড়ে। তবে রোজাদারের পরিমাণ আরও অনেক বেশি। কাজাখস্তানের মুসলমানদের দৈনিক সাড়ে ১৮ ঘণ্টা রোজা রাখতে হয়। তারা গম থেকে তৈরি বিভিন্ন প্রকারের খাবার বেশি খায়।

ইসলাম বিভাগে আপনিও লিখতে পারেন। লেখা ও প্রশ্ন পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৯
এমএমইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।