ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

ইসলাম

দেশের উন্নয়নে সরকার আলেমদের আরও বেশি সম্পৃক্ত করতে চায়

ইসলাম ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৯
দেশের উন্নয়নে সরকার আলেমদের আরও বেশি সম্পৃক্ত করতে চায়

সংযুক্ত আরব আমিরাত: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শেখ মো: আব্দুল্লাহ বলেছেন, বাংলাদেশের বিরাট সংখ্যক জনগোষ্ঠী মাদ্রাসা শিক্ষায় শিক্ষিত; যাদের অর্থনৈতিক  কার্যক্রমে আরও বেশি সম্পৃক্ত করা গেলে দেশ অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন কার্যক্রমে আলেমসমাজকে আরও বেশি সম্পৃক্ত করতে চায়।

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টায় আল-আইন শহরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল-আইন প্রদেশের বিভিন্ন মসজিদের বাংলাদেশি ইমাম, খতিব ও  অন্যান্য  পেশায় কর্মরত বাংলাদেশি ওলামা-মাশায়েখদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের বিপুল সংখ্যক মাদরাসা-শিক্ষিত  প্রবাসী  রয়েছেন, যারা খতিব,  ইমাম-মুয়াজ্জিন, অনুবাদক, ব্যবসায়িক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদিআরব, কুয়েত,  কাতারসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মরত আছেন।

তারা বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা দেশে  পাঠিয়ে দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের  ভাবমূর্তি উন্নয়নেও তারা গুরুতপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন।

বঙ্গবন্ধু-কন্যা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ইসলাম ও ওলামা-মাশায়েখ বান্ধব। তার সরকার বাংলাদেশসহ প্রবাসী সব ওলামা মাশায়েখদের সঙ্গে সু-সম্পর্ক গড়ে তুলছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যে কওমী মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিসের সনদকে স্বীকৃতি দিয়ে মাস্টার্সের সমমান দিয়েছেন। শরিয়ত-বিরোধী কোনো আইন না করার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তা পালন করছেন। হজ ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন ও দেশের ৫৮ জন বিশিষ্ট আলেমকে হজে পাঠানোসহ আলেমসমাজকে মূল্যায়নের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেছেন তিনি।  

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ কথায় নয়; কাজে বিশ্বাস করে। শেখ হাসিনা কথা দিয়ে কথা রাখেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইসলামিক ফাউন্ডেশন গড়ে তুলেছিলেন, টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমার জায়গা দেওয়াসহ মুসলমানদের উন্নয়নে তা নানা পদক্ষেপ রয়েছে।  

কওমী মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিসের সনদ মাস্টার্স ডিগ্রির সমমান দেওয়ায়, মত বিনিময় সভায় ইমাম-মুয়াজ্জিনরা বঙ্গবন্ধু-কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তারা বলেন, ওলামা-মাশায়েখদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তারা আওয়ামী লীগ সরকারের এসব পদক্ষেপের প্রশংসা ও করেন।

এছাড়াও বাংলাদেশের সব মসজিদে জুমার দিনে খুতবার বিষয় নির্ধারণ করে সারা দেশের সব মসজিদে একই খুতবা দেওয়া, সরকারি ব্যবস্থাপনায় কোরআন তেলাওয়াতের বেতার চ্যানেল চালু করা ও প্রবাসীদের কল্যাণে আমিরাত সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়ে আরও বাংলাদেশি ইমাম আনার ব্যবস্থা করার প্রস্তাব দেন তারা।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল-আইন প্রদেশের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মোহাম্মদ আলীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন মাওলানা মীর কামাল, মাওলানা নুরুল কবির, হাফেজ মাওলানা আব্দুল্লাহ, মাওলানা আব্দুশ শহীদ, মাওলানা জহির উদ্দিন, মাওলানা আজিজুল্লাহ ও মাওলানা আব্দুল হালিম প্রমুখ।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশি আলেমদের ধন্যবাদ জানান।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৯
এমএমইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।