ইসহাক পাশা প্রাসাদে বৈচিত্রপূর্ণ স্থাপত্য-শৈলীর সমন্বয় রয়েছে। পারসিক, আর্মেনীয়, জর্জিয়ান, সেলজুক ও ওসমানি স্থাপত্যকলা এতে সৌন্দর্য ও ভিন্নতা সৃষ্টি করেছে।
ইসহাক পাশা প্রাসাদ। ছবি: সংগৃহীত
প্রাসাদটির নির্মাণকাজ শুরু হয় ১৬৮৫ সালে। তৎকালীন স্থানীয় গর্ভনর আবদি পাশা এর নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেন। পরবর্তীকালে তার ছেলে ইসহাক পাশা এটির নির্মাণকাজের তত্ত্বাবধান করেন। এভাবে ধারাবাহিকভাবে ইসহাক পাশার ছেলে মুহাম্মদ পাশা, তারপর মুহাম্মদ পাশার ছেলে ইসহাক পাশা তত্ত্বাবধান করেন। শেষ পর্যন্ত ১৭৮৪ সালে মুহাম্মদ পাশার ছেলে ইসহাক পাশার হাতে প্রাসাদটির নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়।
ইসহাক পাশা প্রাসাদ। ছবি: সংগৃহীত
দূর থেকৈ দেখতে প্রাসাদটিকে দউবেইজিত শহরের প্রহরীর মতো লাগে। যেন একজন প্রহরী শহরের ওপর নজর রাখছে। মূলত দউবেইজিত শহরের উত্তরে অবস্থিত পাহাড়ের ওপর স্থাপিত হওয়ায় দেখতে এমনটা লাগে।
ইসহাক পাশা প্রাসাদ। ছবি: সংগৃহীত
পাথর খোদাই করে প্রাসাদের অলঙ্করণের কাজ করা হয়। প্রাসাদের আয়তন ৭৬০০ বর্গ মিটার। এতে ৩৬৬টি কক্ষ রয়েছে। তুর্কি মুদ্রা ১০০ লিরার নোটে এই প্রাসাদের ছবি রয়েছে।
ইসহাক পাশা প্রাসাদ। ছবি: সংগৃহীত
প্রতিদিন সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত—প্রাসাদটি দেশ-বিদেশের পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত থাকে। প্রাসাদে প্রবেশমূল্য পাঁচ তুর্কি লিরা (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭৩ টাকার সমমান)।
ইসহাক পাশা প্রাসাদ। ছবি: সংগৃহীত

ইসহাক পাশা প্রাসাদ। ছবি: সংগৃহীত

ইসহাক পাশা প্রাসাদ। ছবি: সংগৃহীত

ইসহাক পাশা প্রাসাদ। ছবি: সংগৃহীত
ইসলাম বিভাগে আপনিও লিখতে পারেন। বিষয়ভিত্তিক লেখা ও জীবনঘনিষ্ঠ প্রশ্ন পাঠাতে মেইল করুন: bn24.islam@gmail.com
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৯
এমএমইউ