এর আগে বাদ ফজর উর্দূতে বয়ান করেন ভারতের নিজামুদ্দিনের মুরুব্বি ইকবাল হাফিজ। পরে তা বাংলায় তরজমা করেন মাওলানা ওয়াসিফুল ইসলাম।
সকাল থেকে হেদায়েতি বয়ানের পর লাখো মুসল্লির প্রতীক্ষার অবসান ঘটে জনসমুদ্রে হঠাৎ নেমে আসে নীরবতা। সেবার প্রাণান্তকর চেষ্টা ছিল দেশ বিদেশের লাখ লাখ মুসল্লির সঙ্গে মোনাজাতে শরিক হয়ে নিজের কৃতকর্মের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করা। আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে রোববার (১৯ জানুয়ারি) ভোর থেকে চার দিক থেকে লাখ লাখ মুসল্লি পায়ে হেঁটেই ইজতেমাস্থলে পৌঁছান। সকাল ১০টার আগেই ইজতেমা ময়দান কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায। মুসল্লিরা মাঠের আশে-পাশের অলি-গলি, রাস্তা, পাশ্ববর্তী বাসা-বাড়ি-কলকারখানা-অফিস-দোকানের ছাদে, যানবাহনের ছাদে ও তুরাগ নদীতে নৌকায় মুসল্লিরা অবস্থান নেন। ইজতেমাস্থলে পৌঁছাতে না পেরে কয়েক লাখ মুসল্লি ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নেন।
বিদেশি মেহমান:
ভারত, পাকিস্তান, ইরান, ইরাক, সৌদিআরব, এশিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকা, উত্তর আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়াসহ ৫৫টি দেশের ২ হাজার ৪১০ জন বিদেশি মুসল্লি বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে অংশগ্রহণ করেন। এদের মধ্যে ভারত, পাকিস্তান থেকে সর্বোচ্চ সংখ্যক বিদেশি মেহমান বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২০।
আরএস/এসএইচ