বুধবার (০৮ এপ্রিল) ফেনী সদর উপজেলা কর্মকর্তার (ইউএনও) সঙ্গে যোগাযোগ করেন তারা। যোগাযোগ করা নুসরাহ দাফন টিম ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, ফেনী জেলা শাখা, এ দু’দলে ১০ জন করে আলেম রয়েছেন।
সদর ইউএনও নাসরীন সুলতানা জানান, ক’দিন আগে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে করোনা ভাইরাস সংক্রমিত মরদেহের দাফনের জন্য দশজন আগ্রহী স্বেচ্ছাসেবী চেয়ে অফিশিয়াল ফেসবুক আইডিতে তিনি এক পোস্ট দিয়েছিলেন। তার ধারাবাহিকতায় দু’টো দল তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।
নুসরাহ দাফন টিমের প্রধান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে উর্দু সাহিত্যে সদ্য পাশ করা হাসান বিন মুমিন বলেন, মুসলমানের মরদেহ দাফনে শরীয়ত অনুসারে পালনীয় বিষয়গুলো সম্পন্ন করতে করোনার ভয়ে কেউ এগিয়ে আসছে না। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মরদেহের ভিডিও দেখে খুব খারাপ লাগলো। আক্রান্তদের যারা জীবিত তারাওতো জীবাণু ছড়াচ্ছে। কিন্তু ডাক্তাররা বসে নেই, চিকিৎসা করছেন। তাহলে আমরা কেন মরদেহের প্রাপ্ত সম্মানটুকু দিতে পারবো না। আামাদের দলের আহ্বায়ক মো. হাবীবুল্লাহ প্রথম উদ্যোগ নেন। এরপর আমরা দশজন একত্রিত হই এবং ইউএনও অফিসে যোগাযোগ করি।
হাটহাজরী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র মো. হাবীবুল্লাহ মুসাফীর বর্তমানে বাংলাদেশ সৌদি দুতাবাসে কর্মরত। তিনি বলেন, ইউএনওর পোস্ট দেখে আমি এ পরিকল্পনা করি। বুধবার (৮ এপ্রিল) সকালে ইউএনও অফিসে আমাদের তালিকা দিই। মরদেহ ব্যবস্থাপনায় আমাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে বলে ইউএনও আমাদের জানিয়েছেন।
নুসরাহ দাফন টিমে আরও রয়েছেন, মাওলানা জাফর উল্লাহ, মাওলানা হাফেজ আবদুল্লাহ, হাফেজ কাউছার বাঙ্গালী, আবদুল কাদের মাসুম, মো. আবদুল জাব্বার, মাওলানা ইসমাইল, হাফেজ আতিকুল্লাহ ও মির হোসেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, ফেনী জেলা শাখার স্বেচ্ছাসেবী দলের আবদুর রাজ্জাক বলেন, আমরা মানবিক দায়িত্ববোধ থেকে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। একজন মানুষ যদি মারা যান তার দাফন কাফনের বিষয়ে শরীয়তের নির্দেশনা রয়েছে। যদিও করোনা আক্রান্ত মৃত মানুষের দেহ নিয়ে চরম ভীতি রয়েছে তবু এ কাজ করতে কাউকে না কাউকে আসতেই হবে। আমরা এ দায়িত্ব নিতে চাই।
এ দলে আরও রয়েছেন, মাওলানা একরামুল হক ভূঁঞা, মাওলানা রফিকুল ইসলাম ভুঞা, আবদুল হাই সুমন, মাওলানা আবদুল আজিজ, মাওলানা আলাউদ্দিন সাভেরী, ক্বারি মুহা. আবুল খায়ের, ক্বারী সানাউল্লাহ আশেকী, মুহা. আবদুল করিম, মুহা. জাহিদ হাছান, মুহা. গোলাম কবির, মুহা. আবদুল আওয়াল, মুহা. মোহসিন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, মরদেহ সৎকারে হিন্দুধর্মাবলম্বী পাঁচ স্বেচ্ছাসেবক প্রয়োজন হলেও তিনজনের একটি তালিকা আমাদের একজন অফিস সহকারি সংগ্রহ করেছেন। এছাড়াও একজন হিন্দু নারী স্বেচ্ছাসেবক প্রয়োজন রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০২০
এসএইচডি/এবি