শুক্রবার (১০ এপ্রিল) শহরের বিভিন্ন মসজিদের ইমামদের সঙ্গে কথা হলে তারা প্রায় সবাই জানান, কখনো তারা এমন দিনের কল্পনা করেননি যেদিন জুমার আজান হবে কিন্তু মসজিদে জামাত হবে না।
শহরের প্রধান কয়েকটি মসজিদের ইমামদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, কখনো ভাবিনি এভাবে মহামারি আসবে, এভাবে মসজিদগুলো বন্ধ হয়ে যাবে।
মুসলিমনগর মসজিদের ইমাম মাওলানা মীর মোহাম্মদ কাউসার আলী জানান, আমি সত্যিই কখনো চিন্তা করিনি এমন দিনের সামনে আমাদের উপস্থিত হতে হবে। কেউ কারো হবে না সেটি কেয়ামতের দিনের কথা। আমাদের কেউ আক্রান্ত হলে কিংবা মারা গেলে কেউ কাছে যায় না। বাবা তার সন্তানদের চেনেন না, মা চেনেন না মেয়েক, সন্তানরা বাবা মায়ের দিকে যেতে চায় না। এটি এমন এক মহামারি যা থেকে মহান আল্লাহর কাছে আমাদের ক্ষমা চাইতে হবে। আল্লাহর কাছে এ থেকে আমাদের মুক্তি চাইতে হবে।
কথা বলতে বলতে এক পর্যায়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে তিনি বলেন, এ আমাদের জন্য এক পরীক্ষা। আমাদের আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে হবে। আপাতত ঘরে থেকেই আমাদের নামাজ আদায় করতে হবে। প্রতিটি ঘরকে আল্লাহর ঘরে রূপান্তরিত করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০২০
এএ