বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনে আগ্রহী প্রাক-নিবন্ধিতরা আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত নিবন্ধন করতে পারবেন।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ মার্চ ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ২ মার্চ থেকে নিবন্ধন শুরু হয়েছিল।
সময় বাড়ানোর বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ২০২০ সালে হজ পালনে ইচ্ছুক, নিবন্ধনের জন্য পাসপোর্ট জমা দেওয়া অনেকে সরকারি ছুটির কারণে ব্যাংক থেকে নিবন্ধন ভাউচার গ্রহণ করতে পারেননি।
'এমতাবস্থায় ২০২০ সালে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের নিবন্ধনের সুবিধার্থে হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়সীমা শেষবারের মত আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। '
সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত সব প্রাক-নিবন্ধিত ব্যক্তিসহ হজে গমনেচ্ছু যে কোনো ব্যক্তি নতুনভাবে একইসঙ্গে প্রাক-নিবন্ধন ও নিবন্ধন করতে পারবেন।
অন্যদিকে বেসরকারি ব্যবস্থাপনার প্রাক-নিবন্ধনের সর্বশেষ ক্ৰমিক ৬৭২১৯৯ পর্যন্ত ব্যক্তির মধ্যে ‘আগে আসলে আগে নিবন্ধন করা হবে’ ভিত্তিতে নিবন্ধন করতে পারবেন। পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের সুবিধার্থে আগামী ২৯ এপ্রিলের মধ্যে সংশ্লিষ্ট নিবন্ধন কেন্দ্রে পাসপোর্ট দাখিল করতে হবে।
বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনে ইচ্ছুক ব্যক্তিরা শুধু ১ লাখ ৫১ হাজার ৯৯০ টাকা জমা দিয়ে নিবন্ধন করবেন। আপাতত কোনো অবস্থাতেই এর অতিরিক্ত টাকা জমা দেবেন না। কোনো হজযাত্রী এ পর্যায়ে ১ লাখ ৫১ হাজার ৯৯০ টাকা জমা দিলে এর জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। কোনো এজেন্সি নিবন্ধনের জন্য এর অতিরিক্ত টাকা দাবি করলে তাৎক্ষণিকভাবে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে জানাতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় গৃহীত অর্থ কোনো অবস্থাতেই এ পর্যায়ে হজ কার্যক্রম বাবদ বাংলাদেশে ব্যয় করা যাবে না এবং সৌদি আরবেও পাঠানো যাবে না। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়া কোনো এজেন্সি ব্যাংক থেকে এ টাকা উত্তোলন করতে পারবে না।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০২০
এমআইএইচ/এএ