ফিতরা নির্ধারণ উপলক্ষে বুধবার (৬ মে) সকালে রাজশাহীর জামিয়া ইসলামিয়া শাহ মখদুম (রহ.) মাদ্রাসায় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুফতি মাওলানা মো. শাহাদত আলী।
বিকেলে রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী জামিয়া ইসলামিয়া শাহ মখদুম (রহ.) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুফতি মাওলানা শাহাদত আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, নিজ এলাকার বাজারমূল্য ধরে ১ কেজি ৬৫০ গ্রাম আটা, ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম কিসমিস বা খেজুরের দাম হিসেবে ফিতরা আদায় করা যাবে। দাতার সুবিধায় প্রতি বছরই এভাবে সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ ফিতরা নির্ধারণ করা হয়।
করোনা ভাইরাসের কারণে সভায় বিভিন্ন মসজিদের ইমাম, মাদ্রাসার শিক্ষক, ওলামায়ে কেরাম, মুফতি, মুহাদ্দিস, সাংবাদিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মতামত গ্রহণ করে রাজশাহী ও পার্ব্ বর্তী এলাকার জন্য এবছর ফিতরা নির্ধারণ করা হয় ৫৫ টাকা।
সভায় বলা হয়, রাজশাহীতে মূল্য ৩৩ টাকা কেজি ধরে ১ কেজি ৬৫০ গ্রাম আটার দাম ৫৪ টাকা ৪৫ পয়সা অর্থাৎ ৫৫ টাকা ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে খেজুর ও কিসমিসের ক্ষেত্রে ৩ কেজি ৩শ গ্রামের দাম দিয়েও ফিতরা আদায় করা যাবে।
যাদের সামর্থ্য রয়েছে তারা রাজশাহীর বাজারে কিসমিস ৪শ টাকা কেজি হিসেবে ৩ কেজি ৩শ গ্রামের মূল্য ১ হাজার ৩২০ টাকা এবং খেজুর ৩শ টাকা কেজি হিসেবে ৩ কেজি ৩শ গ্রামের মূল্য ৯৯০ টাকা দিয়েও ফিতরা আদায় করতে পারবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০২০
এসএস/এএ