ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসলাম

ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে পালিত হচ্ছে শবে কদর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১৩ ঘণ্টা, মে ২০, ২০২০
ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে পালিত হচ্ছে শবে কদর .

ঢাকা: দেশে পালিত হচ্ছে পবিত্র লাইলাতুল কদর বা শবে কদর। ২৬ রমজান দিনগত রাতটি বাংলাদেশসহ উপমহাদেশে মহিমান্বিত একটি রাত হিসেবে পরিচিত। এ রাতে ইবাদত-বন্দেগি করে আল্লাহর কাছে গোনাহ মাফের জন্য প্রার্থনা করছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।

বুধবার (২০ মে) রাতে নিজেদের গুনাহ মাফ, বরকত কামনাসহ দেশ ও মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, শান্তি ও সমৃদ্ধ লাভে মহান আল্লাহ তাআলার কাছে প্রার্থনায় চোখের পানি ফেলছেন মোমিন বান্দারা।

লাইলাতুল কদরের রাতটি মুসলমান সম্প্রদায়ের কাছে অনেক ফজিলতপূর্ণ ও বরকতময়।

পবিত্র কোরআনে এ রাতকে হাজার মাসের চেয়ে শ্রেষ্ঠ রাত ঘোষণা করেছেন মহান আল্লাহ। মাহে রমজানের এ রাতেই মানবজাতির জন্য সার্বিক দিকনির্দেশনা, কল্যাণ ও তাদের পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান হিসেবে আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআন মজিদ নাজিল করেন বলে ধারণা করা হয়।
তবে করোনা ভাইরাসের কারণে এবার শবে কদরের আমেজে অনেকটা ভাটা পড়েছে। সীমিত আকারে মসজিদ খুলে দিলেও ঘরে থেকেই রাত জেগে নফল ইবাদত, কোরআন তেলাওয়াত ও জিকির-আজকারের আহ্বান জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

রাতটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়ে দেশবাসীসহ সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে আন্তরিক মোবারকবাদ জানিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, ‘আমরা এমন একটি সময়ে পবিত্র রমজান মাস পালন করছি যখন সারা বিশ্ব নভেল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে বিপর্যস্ত। বিশ্বব্যাপী প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে ও মৃত্যুবরণ করছে। বাংলাদেশও এ ভাইরাসের আক্রমণের শিকার। আসুন শবে কদরের এ পবিত্র রজনিতে আমরা সর্বশক্তিমান আল্লাহর দরবারে এ মহামারি থেকে রক্ষার জন্য প্রার্থনা করি। ’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, ‘আসুন, আমরা সবাই এ মহিমান্বিত রজনিতে মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে বিশেষভাবে ইবাদত ও দোয়া করি যেন আল্লাহ বাংলাদেশের জনগণসহ বিশ্ববাসীকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে মুক্তি দেন। ’

হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী, ২০ রমজানের পর যেকোনো বিজোড় রাতে কদর হতে পারে। তবে ২৬ রমজানের দিনগত রাতেই লাইলাতুল কদর আসে বলে বেশির ভাগ আলেমের অভিমত।

পবিত্র কোরআনে ‘কদর’ নামে একটি সূরা রয়েছে। সেখানে এ রাতকে হাজার মাসের চেয়েও উত্তম বলা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন সহিহ হাদিসে এ রাতের ফজিলতের কথা উল্লেখ আছে। সারা দেশে মুসলমানরা নফল নামাজ, পবিত্র কোরআন তেলওয়াত, জিকির ও দরূদ পাঠের মাধ্যমে রাতটি অতিবাহিত করবেন।

বাংলাদেশ সময়: ২৩১২ ঘণ্টা, মে ২০, ২০২০
এইচএমএস/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।