বুধবার (২০ মে) রাতে নিজেদের গুনাহ মাফ, বরকত কামনাসহ দেশ ও মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, শান্তি ও সমৃদ্ধ লাভে মহান আল্লাহ তাআলার কাছে প্রার্থনায় চোখের পানি ফেলছেন মোমিন বান্দারা।
লাইলাতুল কদরের রাতটি মুসলমান সম্প্রদায়ের কাছে অনেক ফজিলতপূর্ণ ও বরকতময়।
তবে করোনা ভাইরাসের কারণে এবার শবে কদরের আমেজে অনেকটা ভাটা পড়েছে। সীমিত আকারে মসজিদ খুলে দিলেও ঘরে থেকেই রাত জেগে নফল ইবাদত, কোরআন তেলাওয়াত ও জিকির-আজকারের আহ্বান জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
রাতটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়ে দেশবাসীসহ সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে আন্তরিক মোবারকবাদ জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, ‘আমরা এমন একটি সময়ে পবিত্র রমজান মাস পালন করছি যখন সারা বিশ্ব নভেল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে বিপর্যস্ত। বিশ্বব্যাপী প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে ও মৃত্যুবরণ করছে। বাংলাদেশও এ ভাইরাসের আক্রমণের শিকার। আসুন শবে কদরের এ পবিত্র রজনিতে আমরা সর্বশক্তিমান আল্লাহর দরবারে এ মহামারি থেকে রক্ষার জন্য প্রার্থনা করি। ’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, ‘আসুন, আমরা সবাই এ মহিমান্বিত রজনিতে মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে বিশেষভাবে ইবাদত ও দোয়া করি যেন আল্লাহ বাংলাদেশের জনগণসহ বিশ্ববাসীকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে মুক্তি দেন। ’
হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী, ২০ রমজানের পর যেকোনো বিজোড় রাতে কদর হতে পারে। তবে ২৬ রমজানের দিনগত রাতেই লাইলাতুল কদর আসে বলে বেশির ভাগ আলেমের অভিমত।
পবিত্র কোরআনে ‘কদর’ নামে একটি সূরা রয়েছে। সেখানে এ রাতকে হাজার মাসের চেয়েও উত্তম বলা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন সহিহ হাদিসে এ রাতের ফজিলতের কথা উল্লেখ আছে। সারা দেশে মুসলমানরা নফল নামাজ, পবিত্র কোরআন তেলওয়াত, জিকির ও দরূদ পাঠের মাধ্যমে রাতটি অতিবাহিত করবেন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩১২ ঘণ্টা, মে ২০, ২০২০
এইচএমএস/আরআইএস/