ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইসলাম

‘ঈদগাহ মাঠে নামাজ না হলে ঈদের আমেজ বোঝা যায় না’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩২ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০২০
‘ঈদগাহ মাঠে নামাজ না হলে ঈদের আমেজ বোঝা যায় না’

মাদারীপুর: ‘ঈদের নামাজের জন্য ঈদগাহ মাঠ। অনেক মানুষ একত্রিত হয়ে মাঠে নামাজ আদায় না করতে পারলে ঈদের দিনের আমেজ বোঝা যায় না। মসজিদে ঈদের নামাজ আদায়ে অন্যদিনের মতোই লাগে। কিন্তু কিছু করার নাই। আল্লাহ সবার মঙ্গল করুন’ ঈদের নামাজ শেষে এক বয়স্ক ব্যক্তি এভাবেই তার অনুভূতি প্রকাশ করেন।

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক দেশের সব স্থানেই এবার ঈদের নামাজ আদায় হয়েছে মসজিদে। মাদারীপুরও তার ব্যতিক্রম নয়।

বিভিন্ন এলাকার ঈদগাহ মাঠের পরিবর্তে একাধিক মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় হয়।  

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ইতোপূর্বে একটি গ্রামে একটি বা দুটি স্থানের মাঠে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হতো। গ্রামের সব মানুষ একত্রিত হয়ে ঈদের নামাজ আদায় করতো। এ বছর করোনা ভাইরাসের কারণে ঈদের নামাজ মাঠ বা খোলা স্থানের পরিবর্তে মসজিদে আদায় করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে একটি এলাকায় যতগুলো মসজিদ রয়েছে প্রায় প্রতিটি মসজিদেই আলাদা করে নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। লোক সমাগম এড়ানোর জন্য এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

শিবচরের উৎরাইল চৌধুরী বাড়ির জামে মসজিদে নামাজ শেষে ষাটোর্ধ্ব এ ব্যক্তির কাছে অনুভূতি জানতে চাইলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আশেপাশের মসজিদগুলোতে ঈদের নামাজ আদায় হয়েছে। একারণে মসজিদে লোকসমাগম কিছুটা কম। চেষ্টা করা হয়েছে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে। তাছাড়া বাইরের কেউ বা হঠাৎ করে ঢাকা থেকে আসা কেউ মসজিদে আসেনি।

তিনি আরও বলেন, ঈদের নামাজ মসজিদে আদায় করতে হয়েছে পরিস্থিতির কারণে। আসলে ঈদের নামাজ মাঠে আদায় না করতে পারলে মন ভরে না।

স্থানীয় সালাউদ্দিন চৌধুরী বলেন, নামাজ শেষে কোলাকুলি করা হলো না এবার। ঈদের নামাজ শেষে কোলাকুলির মধ্যে যে প্রশান্তি পাওয়া যায় এবার তা থেকে আমরা বঞ্চিত হলাম। আল্লাহ যেন করোনা ভাইরাস থেকে আমাদের হেফাজতে রাখেন।

আরেক যুবক বলেন, নামাজ শেষে যে যার মতো নিরবে বাড়ি ফিরে যাচ্ছে। কারো সঙ্গে করমর্দন নেই, কোলাকুলি নেই। এবছর কেউ কাউকে দাওয়াতও দিচ্ছে না। ঈদের আনন্দ কোথায়?

স্থানীয় মসজিদগুলোতে নামাজ শেষে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তির জন্য দোয়া ও মোনাজাত করা হয় প্রতিটি মসজিদে।

করোনা ভাইরাসের এই দুর্দিন কেটে গিয়ে আগামীতে আবার স্বাভাবিক ভাবে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। নামাজ শেষে কোলাকুলির মাধ্যমে ভ্রাতৃত্ববোধের জানান দেবে পরস্পর। দলবেধে পাড়া-প্রতিবেশি, বন্ধু-বান্ধবের বাড়িতে যাবে। সর্বোপরি স্বাভাবিক জীবনযাপন ফিরে আসবে এমন দোয়া কামনা করে শেষ হয় ঈদের বিশেষ মোনাজাত।

বাংলাদেশ সময়: ০৯২৯ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০২০
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।