ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে বিজয়ী চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে হলফনামায় তথ্য গোপনের অভিযোগ উঠেছে।
তিনি একটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি হলেও নির্বাচনী হলফনামায় তা উল্লেখ করেননি বলে জানা গেছে।
গত ২৩ এপ্রিল তৃতীয় দফায় অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জাতীয় পার্টি থেকে ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন মোশাররফ হোসেন।
সূত্র জানায়, ময়মনসিংহের ভালুকা থানায় ২০০৭ সালে মোশাররফসহ চারজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়। ২০০৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর জেলার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. নুরুল ইসলাম আসামিদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেন।
ওই রায়ে মোশাররফ হোসেনের ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড, পাঁচশ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ১৫ দিনের সশ্রম কারাদণ্ড হয়। তবে সে সময় মোশাররফ পলাতক ছিলেন।
মামলায় তথ্য গোপন বিষয়ে মোশাররফ হোসেন বাংলানিউজকে জানান, হলফনামায় মামলার বিষয় উল্লেখ করতে হয় কি না তা তিনি জানেন না।
তিনি দাবি করেন, তিনি কোনো মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি নন। ওই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত মোশাররফ আর তিনি এক ব্যক্তি নন।
তবে ওই মামলার প্রধান আসামি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলানিউজকে জানান অরুয়াইল ইউপির নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানই তাদের সঙ্গে সাজাপ্রাপ্ত মোশাররফ হোসেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন আল-মামুন বাংলানিউজকে বলেন, সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি নির্বাচন করতে পারেন না। যেহেতু তথ্য গোপন করে ওই ব্যক্তি নির্বাচিত হয়েছেন, এখন বিষয়টির সমাধান আদালতই দিতে পারবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৬
আরআইইউ/এসআর