ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয় পার্টি

নেতাদের বক্তব্যেই শেষ মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৮
নেতাদের বক্তব্যেই শেষ মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার জাতীয় পার্টির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠান

ঢাকা: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠান পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের বক্তব্যের মাধ্যমে শেষ হয়েছে। পার্টির স্বার্থে চেয়ারম্যান মনোনয়ন দেবেন জানিয়ে সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠান শেষ করা হয়।

মঙ্গলবার (২০ নভেম্বর) সকাল ১০টায় রাজধানীর একটি কনভেনশন সেন্টারে সাক্ষাৎকারের সময় নির্ধারিত ছিল। সকাল থেকে নেতা-কর্মীরা আসতে শুরু করলেও বেলা ১২টার দিকে আসেন পাটির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ।

এরপর শুরু হয় অনুষ্ঠান। বেলা সোয়া ১২টার দিকে আসেন কো চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পার্টির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার। তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি বাংলাদেশের রাজনীতিতে বড় ফ্যাক্টর। জাতীয় পার্টি যে দলকে সমর্থন দেয় সেই দলই ক্ষমতায় যায়। যাদের দিকে তাকায় না তারা অন্ধকারে রয়ে যায়।

মনোনয়নপ্রত্যাশীদের উদ্দেশে রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, আমাদের চেয়ারম্যান অনেক জেল-জুলুম, হামলা-মামলা মাথায় নিয়ে নানারকম প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলা করে জাতীয় পার্টির পতাকা ধরে রেখেছেন। জাতীয় পার্টি একটি শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ পার্টি। আমরা যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে প্রস্তুত। চেয়ারম্যান যেখানে যাকে মনোনয়ন দেবেন আমরা তার সঙ্গে কাজ করবো। সবাই চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন।

মহাসচিবের বক্তব্যের পর পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায় ৩০০ আসনে ৭৮০ জন মনোনয়নপ্রত্যাশীর নাম পড়ে শোনান এবং মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যদের নাম ঘোষণা করেন।

এরপর বক্তব্য রাখেন পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। তিনি বলেন, পার্টির জন্য আমি সাত বছর জেল খেটেছি। আমি জেলের মধ্যে অসুস্থ হয়েছিলাম। খালেদা জিয়া আমার চিকিৎসার ব্যবস্থা করেননি। উল্টো বলেছিলোন, এরশাদকে মরতে দাও। এরশাদ মরে নাই। একটি দিনও আমি সুখী ছিলাম না। এখনো আমার নামে মামলা আছে। আমার মত দুঃখি কেউ নেই। পার্টির জন্য আমার চেয়ে কষ্ট কেউ করেনি।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, আপনারা সবাই নিজ এলাকায় ফিরে যান। সময়মতো আমি সিদ্ধান্ত জানাবো। আমি যাকে যেখানে মনোনয়ন দেবো, তার জন্য সবাইকে কাজ করতে হবে। প্রাথমিকভাবে আমরা ৩০০ আসনে মনোনয়ন দেবো। রাজনৈতিক মেরুকরণের কারণে কোনো দলের সঙ্গে জোট করতে হলে অনেক আসনে ছাড় দিতে হবে। সেই সিদ্ধান্ত আমি নেবো। যা করবো পার্টির স্বার্থেই করবো।

জাতীয় পার্টি ক্ষমতা ছাড়ার পর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য এবারই সর্বোচ্চ সংখ্যক মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছে বলেও জানান এরশাদ। একারণে তিনি মনে করেন জাতীয় পার্টি আবার জেগে উঠেছে।

সমাপনী বক্তব্যে পার্টির চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ বলেন, আজ আমাদের আনন্দের দিন। তরুণ প্রজন্ম যেভাবে জাতীয় পার্টির সঙ্গে আছে তাতে ভবিষ্যতে আমাদের পার্টি আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে।  

এ সময় রওশন এরশাদ উপস্থিত নেতাদের সঙ্গে সুর মিলিয়ে ‘নতুন বাংলাদেশ গড়বো’ শিরোনামে একটি গানও গান।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৮
এসই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।