বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রওশনের গুলশানের বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করে এরশাদপত্নীকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন তিনি।
জিএম কাদেরকে কো-চেয়ারম্যান পদ গ্রহণ করে চেয়ারম্যান পদ ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, পার্টির মহাসচিব থাকবেন মসিউর রহমান রাঙ্গা।
এর আগে সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান (নবঘোষিত চেয়ারম্যান) রওশন এরশাদ বলেন, আসুন সবাই মিলে পার্টিটাকে ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা করি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা, গোলাম কিবরিয়া টিপু, মজিবুল হক চুন্নু, ফখরুল ইমাম, লিয়াকত হোসেন খোকা, নুরুল ইসলাম ওমর, এসএম ফয়সল চিশতী, মীর আবদুস সবুর আসুদ ও সফিকুল ইসলাম সেন্টু প্রমুখ।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধীদলীয় নেতার দায়িত্বে থাকাবস্থায় গত ১৪ জুলাই মারা যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। চারদিনের মাথায় ১৮ জুলাই দুপুরে বনানীতে জাপা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা জানান, এরশাদ অসুস্থাবস্থায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসা জিএম কাদের পার্টির চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালন করবেন।
পরে রওশনের বাসায় গিয়ে তার ‘দোয়া’ নিয়ে আসেন কাদের। যদিও কয়েক দিনের মাথায় রওশন এরশাদের প্যাডে হাতে লেখা এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের মারফত আমরা জানতে পেরেছি জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে, যা আদৌ কোনো যথাযথ ফোরামে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি। ’
২৩ জুলাই এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে জিএম কাদের বলেন, ‘জাতীয় পার্টিতে কোনো বিভেদ নেই। জাতীয় পার্টি ঐক্যবদ্ধভাবে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। নেতৃত্বের প্রশ্নে জাতীয় পার্টিতে কোনো দ্বন্দ্ব নেই। জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দ গঠনতন্ত্র অনুসরণ করেই চেয়ারম্যান ঘোষণা করেছেন। তারা যে নামেই সম্বোধন করবেন তাতে কোনো সমস্যা নেই। জাতীয় পার্টিতে কাজ করাটাই আসল কথা। কোনো সমস্যা থাকলে আমরা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান করবো। ’
এরপর দীর্ঘদিন এ নিয়ে তেমন উচ্চবাচ্চ্য না হলেও শেষতক সংবাদ সম্মেলন করেই পার্টির চেয়ারম্যান পদে রওশনের নাম ঘোষণা করলো দলের নেতৃত্বের একাংশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৯
এসএমএকে/এইচএ/