বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
জিএম কাদের বলেন, গঠনতন্ত্র মেনে ও সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে কথা বলেই সংসদে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
পার্লামেন্টারি বোর্ড গঠন নিয়ে উত্থাপিত অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এরশাদ সাহেব জীবিত থাকা অবস্থায় যেভাবে বোর্ড গঠন করেছিলেন, সেভাবেই করা হয়েছে। শুধু একজন সদস্য নিজ থেকে সরে যেতে চাইলে তার স্থানে কাজী ফিরোজ রশীদকে যুক্ত করেছি।
জাতীয় নির্বাচন ও একটি উপ-নির্বাচনে একই বোর্ড নাও হতে পারে বলে জানান তিনি।
কাদের বলেন, নিজেকে রাজা ঘোষণা করলেই কেউ রাজা হয়ে যায় না। রাজা হতে হলে রাজ্য থাকতে হয়, প্রজা থাকতে হয়। তাই, কে কী ঘোষণা করেছে, তাতে জাতীয় পার্টির কিছু যায়-আসে না। বিশাল আকাশ থেকে কত তারা ঝরে পড়ে, তাতে আকাশের কী আসে-যায়? জাতীয় পার্টি ঐক্যবদ্ধ আছে, ঐক্যবদ্ধ থাকবে। ঐক্যের প্রশ্নে জাতীয় পার্টির কোনো সমস্যা হবে না।
তিনি বলেন, যারা শৃঙ্খলাবিরোধী কার্মকাণ্ডে জড়িত হবে, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, গঠনতন্ত্রের ২০/১/ক ধারা মোতাবেক পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ মৃত্যুর আগে সাংগঠনিক নির্দেশে তার অবর্তমানে জাতীয় পার্টির নেতৃত্ব নির্ধারণ করেছেন। গণমাধ্যমকর্মীদের সামনেই তিনি তার অবর্তমানে আমাকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ঘোষণা করেছেন। আবার, পল্লীবন্ধুর মৃত্যু পরবর্তী প্রেসিডিয়াম সদস্যদের প্রথম সভায় উপস্থিতরা জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণের জন্য আমাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এছাড়া, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সংসদের বিরোধীদলের নেতা নির্বাচনের জন্য ১৫ সংসদ সদস্য তাদের মতামত দিয়েছেন। এর ভিত্তিতেই স্পিকারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। পার্টির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ ও স্পিকারকে চিঠি দেওয়া সবার মতামতের ভিত্তিতেই করা হয়েছে। এতে গঠনতন্ত্র বা আইনের কোন ব্যত্যয় ঘটেনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা দলের মূলধারার সঙ্গেই আছেন। তিনি একটি জরুরি সভায় যোগ দেওয়ার কারণে আসতে পারেননি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়া উদ্দিন আহমেদ বাবলু, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, গোলাম কিবরিয়া টিপু, অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম, সুনীল শুভ রায়, লে. জে. (অব.) মাসুদউদ্দিন চৌধুরী, মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, এস এম ফখর-উজ-জামান জাহাঙ্গীর, কাজী মামুনুর রশিদ, আলমগীর সিকদার লোটন, এমরান হোসেন মিয়া, নাজমা আক্তার, উপদেষ্টা মেজর (অব.) আশরাফ-উদ-দৌলা, মাহমুদুর রহমান মাহমুদ, ভাইস চেয়ারম্যান সরদার শাহজাহান, আহসান আদেলুর রহমান, মোস্তাকুর রহমান, মস্তফা আল মাহমুদ, নুরুল ইসলাম তালুকদার, যুগ্ম-মহাসচিব হাসিবুল ইসলাম জয়, সুলতান আহমেদ সেলিম, শফিউল্লাহ শফি, আমির উদ্দিন আহম্মেদ ডালু, সম্পাদক মণ্ডলির সদস্য শেখ মাতলুব হোসেন লিয়ন, আবদুল হামিদ ভাষানী প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৯ (আপডেট: ১৯৪০)
এসএমএকে/এসএইচ/একে