এছাড়া দলের চেয়ারম্যান ও মহাসচিব বসে রংপুর-৩ আসনে প্রার্থীর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন বলেও জানালেন রাঙ্গা।
রোববার (০৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে পার্টির চলমান পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, দুপুরে সংসদ পার্লামেন্টারি কমিটির বৈঠক রয়েছে জাপার। সে সভার পর আজকে বিরোধী দলীয় নেতা নির্ধারণে স্পিকারকে চিঠি দিতে পারে জাপা। বিরোধী দলীয় নেতা নির্বাচনের পর সংসদে তাদের উপনেতা কে হবেন তাও নির্ধারণ করবেন তিনি।
নিজের লুকিয়ে থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, পরিবারে পিতা-মাতা যখন বিবাদে জড়ায়, তখন সন্তানরা বিপদে পড়েন। দলে বড় ভাই হিসেবে আমি কিছুটা সরে পড়েছিলাম। তবে গত দুই-তিন দিনে আমি সর্বাত্মক চেষ্টা করে গতকালের বৈঠক আয়োজন করেছি।
তিনি আরো বলেন, জাতীয় পার্টিতে অনেক ভাঙন দেখেছি। অনেক ভালো লোক এই দল ছেড়ে বিএনপি ও আওয়ামী লীগে চলে গেছেন। তবে এবার একটা বড় ধরনের ভাঙন থেকে জাপা রক্ষা পেয়েছে বলে তিনি জানান।
এদিকে রওশনপন্থী কোনো নেতাকর্মী সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন না।
এর আগে শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে রওশন ও জিএম কাদেরের পক্ষের নেতারা দীর্ঘ বৈঠক শেষে সমঝোতায় আসেন।
বৈঠকে সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত হয়, আবারো বিরোধী নেতা হচ্ছেন জাপার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা বেগম রওশন এরশাদ। আর আগামী কাউন্সিল পর্যন্ত জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন জিএম কাদের। কাউন্সিলে দলের নেতৃত্ব নির্ধারণ হবে।
ওই বৈঠকে দলের মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা উভয়পক্ষে সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করেন।
বৈঠকে রওশনপন্থী নেতাদের মধ্যে ছিলেন দলের জ্যেষ্ঠ নেতা ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু, ফখরুল ইমাম ও এস এম ফয়সল চিশতী। আর জিএম কাদেরপন্থী নেতাদের মধ্যে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, সাবেক মহাসচিব জিয়া উদ্দিন আহমেদ বাবলু, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা ও লে. জে. (অব.) মাসুদ উদ্দীন চৌধুরী।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৯
এসএমএকে/এসএইচ