বুধবার (২৩ অক্টোবর) জাপা চেয়ারম্যানের বনানীর কার্যালয়ে উপজেলা দিবস উপলক্ষে জাতীয় পার্টি আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, উপজেলা আদালত যে নেই তা নয়।
তিনি উপজেলা প্রবর্তনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, পল্লীবন্ধু এরশাদ একটি কল্যাণমুখী, অর্থনৈতিক, প্রশাসনিক গ্রামমুখী ও জনপ্রতিনিধত্বশীল প্রশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়েই উপজেলা ব্যবস্থা প্রবর্তন করেছিলেন। যা একটি মডেল হিসেবে মর্যাদা লাভ করেছে। এই উপজেলা প্রতিষ্ঠার জন্য জনগণের হৃদয়ে লেখা হয়ে গেছে তার নাম। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, ততদিন উপজেলা থাকবে। আর যতদিন এই উপজেলা থাকবে, ততদিন ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবেন পল্লীবন্ধু এরশাদ। এই উপজেলা জাতীয় পার্টির গর্ব। উপজেলাকে নিয়েই আমরা এগিয়ে যাব- আগামী দিনের সমৃদ্ধির পথে।
সভায় জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের অনন্য সৃষ্টির মধ্যে উপজেলা পদ্ধতি প্রবর্তন অন্যতম। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ জনগণের সঙ্গে ছিলেন। আমরাও সারাজীবন সাধারণ মানুষের সঙ্গে থেকে রাজনীতি করব। নয় বছরের শাসনামলে এরশাদ উন্নয়নের যে কীর্তি গড়েছেন, তা এখনও পর্যন্ত কোনো সরকার করতে পারেনি। তিনি বঙ্গবন্ধুর সমাধিমাজার, মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ, জাতীয় স্মৃতিসৌধ, তিন নেতার সমাধিসহ অসংখ্য রাস্তা-ঘাট-ব্রিজ নির্মাণ করেছেন। বাংলাদেশের উন্নয়নের মূল কাঠামোই তৈরি করেছিলেন পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব জিয়াউদ্দিন বাবলু বলেন, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বাংলাদেশের উন্নয়নের রাজনীতিতে কিংবদন্তি হয়ে থাকবেন। অমর হয়ে থাকবেন পল্লীর প্রতিটি মানুষের অন্তরে। তার প্রতি সাধারণ মানুষের অকৃত্রিম ভালোবাসায় জাতীয় পার্টি বাংলাদেশের রাজনীতিতে বেঁচে থাকবে।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, সুনীল শুভ রায়, এসএম ফয়সল চিশতী, আলমগীর সিকদার লোটন, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, ছাত্রসমাজের সদস্য সচিব ফয়সল দিদার দিপু, শ্রমিক পার্টির সিনিয়র সাধারণ সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ শান্ত, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহ সভাপতি এসএম সোবহান, কৃষক পার্টির সহ সভাপতি রমজান আলী ও মুক্তিযোদ্ধা পার্টির আহ্বায়ক জাফরুল্লাহ মজুমদার।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৯
এসএমএকে/টিএ