রোববার (২৭ অক্টোবর) বেলা ১১টায় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী অফিসে জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক টিমের যৌথসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
জি এম কাদের বলেন, বুয়েটছাত্র আবরার হত্যাকাণ্ডে আমরা তীব্র নিন্দা জানিয়েছি।
কাদের বলেন, দেশে এখন দুর্নীতিবিরোধী শুদ্ধি অভিযান চলছে। আমি প্রধানমন্ত্রীর এই সাহসী পদক্ষেপকে অভিনন্দন জানাই। তিনি নিজ দলের মানুষকেও ছাড় দেন নাই। আমরা আশা করি এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। আওয়ামী লীগ এ বিষয়ে তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে বর্ণিত অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করবে।
তিনি বলেন, দেশে রাজনৈতিক শূন্যতা আছে। সামাজিক অস্থিরতা বিরাজ করছে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা সুশৃঙ্খলভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। যাতে করে শক্তিশালী সংগঠনের মাধ্যমে জনপ্রত্যাশিত রাজনীতি দিয়ে আমরা অধিকতর জনসমর্থন ও আস্থা অর্জন করতে পারি।
এসময় জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আরও চার বছর বাকি। এর মধ্যেই আগামী নির্বাচনের জন্য আমাদের সংসদীয় আসনগুলোতে লক্ষ্য রেখে পরিকল্পিতভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে হবে।
‘জনপ্রিয় প্রার্থী নির্বাচন করে এখন থেকেই আমরা সভা-সমাবেশের মাধ্যমে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের আদর্শ ও কর্মসূচিগুলো সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরবো। সম্মিলিতভাবে ওই আসনগুলোতে জাতীয় পার্টি ও অঙ্গ-সংগঠনগুলোকে আরও শক্তিশালী করতে হবে,’ যোগ করেন তিনি।
একইসঙ্গে দেশের আগামী দিনের রাজনীতিতে জাতীয় পার্টি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
যৌথসভায় আরও বক্তব্য রাখেন- চট্টগ্রাম বিভাগের আহবায়ক কাজী ফিরোজ রশীদ, সমন্বয় কমিটির আহবায়ক জিয়া উদ্দিন আহমেদ বাবলু, সমন্বয় কমিটির সদস্য সচিব মো. আবুল কাশেম, ঢাকা বিভাগের আহবায়ক সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য সচিব এটিইউ তাজ রহমান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৯
এসএমএকে/এসএ