শনিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে কুমিল্লা নগরীর টাউন হল মিলনায়তনে মারামারি শুরু হয়ে ঘটনা জেলা সার্কিট হাউজ পর্যন্ত গড়ায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে কুমিল্লা টাউন হল মিলনায়তনে জাতীয় পার্টির কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা, কুমিল্লা উত্তর জেলা ও মহানগর শাখার সাংগঠনিক সভা চলছিল।
সভা চলাকালে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা জাতীয় পার্টির সিনিয়র সহ-সভাপতি সালামত উল্লাহর সঙ্গে সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ওবায়েদুল কবিরের বাক-বিতণ্ডা হয়। এরপর কুমিল্লা উত্তর জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি আমির হোসেন মঞ্চে বক্তব্য দিতে গেলে কেন্দ্রীয় নেতা মাখন সরকার মাইক কেড়ে নেন। এতে মঞ্চে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। অনুষ্ঠান শেষের পর মাঠের মধ্যে আমির হোসেন ও মাখন সরকারের কর্মীদের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। এসময় পুলিশ টাউন হল মাঠ থেকে দুই জনকে আটক করে।
সভা শেষ করে কেন্দ্রীয় নেতারা কুমিল্লা সার্কিট হাউজে যান। সেখানে আমির হোসেন ও মাখন সরকারের মধ্যে ফের হাতাহাতি হয়। এ সময় আমির হোসেন ও মাখন সরকার আহত হন। পুলিশ তখন মাখন সরকারকে আটক করে। দুই জায়গায় সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়।
এ বিষয়ে উত্তর জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি লুৎফুর রেজা খোকন বাংলানিউজকে জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামান্য হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। বিষয়টি কেন্দ্রীয় নেতারা মীমাংসা করে দিয়েছেন।
এ বিষয়ে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ারুল হক জানান, টাউন হল ও সার্কিট হাউজের ঘটনায় তিন জনকে আটক করা হয়। এ বিষয়ে কারও কোনো অভিযোগ না থাকায় পরে কেন্দ্রীয় নেতাদের অনুরোধে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৯
এইচএ/