মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) বিকেলে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী অফিসে পার্টির প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদের প্রথম মৃত্যু বার্ষিকীর আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
জি এম কাদের বলেন, পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ তার কর্মসূচি, উন্নয়ন ও সাফল্য দিয়ে মানুষের অন্তর জয় করেছিলেন।
‘পল্লীবন্ধু ৯ বছর দেশ পরিচালনা করেছেন। সে সময় তিনি আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার বীজ বপন করেছেন। পরবর্তী সরকারগুলো পল্লীবন্ধুর গড়া ভিত্তির ওপরে দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এগিয়ে নিয়েছে। আর এ কারণেই পল্লীবন্ধু এরশাদকে আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার বলা হয়। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বিচার ব্যবস্থায় অসাধারণ উন্নয়ন সাধন করেছিলেন। তিনি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করেছিলেন। এতে গণতন্ত্রের প্রকৃত স্বাদ পেয়েছিল দেশের মানুষ। ’
সভায় জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে বলেন, নির্বাচন কমিশন পল্লীবন্ধুর প্রথম মৃত্যু বার্ষিকীতে উপ-নির্বাচন করে মানুষের অন্তরে আঘাত দিয়েছে। এরশাদ শুধু সাবেক রাষ্ট্রপতিই নন বর্তমান সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা ছিলেন। পল্লীবন্ধুর প্রতি অসম্মান দেখিয়ে নির্বাচন কমিশন সঠিক কাজ করেনি। এই নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারে না। শিশুরাও বেলা ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে আগাম বলে দিতে পারে নির্বাচনের ফলাফল।
সভায় অন্যদের মধ্যে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপু, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, আলমগীর সিকদার লোটন, এমরান মিয়া, জহিরুল ইসলাম জহির, উপদেষ্টা- নুরুল ইসলাম তালুকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সভার আগে মঙ্গলবার সকালে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা পার্টির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে রংপুরে পল্লী নিবাসে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সমাধিতে ফুল দিয়ে ফাতেহা পাঠ করে দোয়া-মুনাজাত করেন। রাজধানীতে ফিরে বিকেলে জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদের বাসভবনে পল্লীবন্ধুর প্রথম মৃত্যু বার্ষিকীর মিলাদ মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন তারা।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০২০
এসএমএকে/এইচজে