ঢাকা: ‘বিশেষজ্ঞদের ধারণা আসন্ন শীত মৌসুমে করোনার প্রকোপ বেড়ে যেতে পারে। শীত মৌসুমে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ হলে সরকারের পক্ষ থেকে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বা কেমন প্রস্তুতি আছে তা দেশবাসী জানতে চায়।
রোববার (১১ অক্টোবর) দুপুরে বনানী কার্যালয়ে ফেনী জেলা জাতীয় পার্টির (জাপা) সাংগঠনিক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দলের চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি সম্বন্ধে বিভ্রান্তি বিরাজ করছে। দেশের মানুষ জানে না, করোনার সংক্রমণ বাড়ছে নাকি কমছে।
তিনি আরো বলেন, করোনা মোকাবিলায় হাততালি পাওয়ার মতো কোনো সাফল্য নেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের। করোনারোগীর জটিলতা বেড়ে গেলে যে চিকিৎসার প্রয়োজন তা সরকারি হাসপাতালগুলোতে নেই। দেশের প্রত্যান্ত অঞ্চল বা জেলা পর্যায়ে করোনার চিকিৎসাসেবা নেই বললেই চলে। দেশের কিছু বেসরকারি হাসপাতালে করোনার উন্নত চিকিৎসা আছে কিন্তু তা খুবই ব্যয়বহুল। সাধারণ মানুষের সামর্থ নেই বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেওয়ার।
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, করোনাকালে ক্ষুদ্র ব্যাবসা এবং ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালিয়ে অনেকেই জীবন চালাচ্ছে। তাই আইনের দোহাই দিয়ে দরিদ্র মানুষের জীবিকায় আঘাত দেওয়া যাবে না। করোনাকালে মানুষকে বাঁচতে দিতে হবে।
জাতীয় পার্টি মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেন, দেশের মানুষ পরিবর্তন চায়। দেশের মানুষ আর আওয়ামী লীগ ও বিএনপির ক্ষমতার পালাবদল দেখতে চায় না। দেশের মানুষ এক বুক আশা নিয়ে তাকিয়ে আছে জাতীয় পার্টির দিকে।
জাতীয় পার্টি প্রেসিডিয়াম সদস্য লেফটেনেন্ট জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, জাতীয় পার্টির এগিয়ে চলার পথে কেউ বাধা সৃষ্টি করতে পারবে না। জাতীয় পার্টির এগিয়ে চলায় কোনো প্রতিবন্ধকতা বরদাশত করা হবে না।
ফেনী জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক মোতাহের হোসেন চৌধুরী রাশেদের সভাপতিত্বে অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সুনীল শুভরায়, রেজাউল ইসলাম ভূইয়া, জহিরুল ইসলাম জহির, যুগ্ম মহাসচিব বেলাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হেলাল উদ্দিন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০২০
এসএমএকে/এএটি