ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

খুদে লেখক রূপকথা লিখেছে ‘ছোটদের মজার মজার গল্প’

ইচ্ছেঘুড়ি ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৩
খুদে লেখক রূপকথা লিখেছে ‘ছোটদের মজার মজার গল্প’

মাত্র ৯ বছর বয়সে মৌলিক, ফিকশনধর্মী পূর্ণাঙ্গ বই লেখা একটি বিরল ঘটনা। সম্ভবত, প্রথম বই (মৌলিক, ফিকশনধমী পূর্ণাঙ্গ বই) প্রকাশের সময় বয়স অনুসারে রূপকথা দাস-ই সর্বকনিষ্ঠ।

খুদে এই লেখক তার বয়সী খুদে পাঠকদের জন্য লিখেছে মজাদার ও আনন্দময় বই ’ছোটদের মজার মজার গল্প’।

বইটিতে সাতটি গল্প রয়েছে, যা পাঠকদের নিয়ে যায় এক জাদুকরী কল্পনার জগতে। এই বইয়ের চরিত্র মিতু, টুটু, নয়নার সাথে সাথে পাঠকরাও ঘুরে বেড়ায় কখনও চকলেটের দেশে, কখনও বরফের দেশে, কখনওবা পরীর দেশে। মুখোমুখি হয় দারুণ ও উত্তেজনাকর সব সমস্যার। আবার, শিশুতোষ বুদ্ধিমত্তা দিয়ে সমাধান করে সেইসব সমস্যা।

এই বই শিশু বুদ্বিমত্তার এক অপূর্ব নিদর্শন যেমন—আগুন বা ধোঁয়া নয়, ফুল দিয়ে মৌমাছিকে তাড়িয়ে মধু খাওয়া বা লজ্জা দিয়ে ডাইনিদের চকলেট দেশ থেকে তাড়ানো ইত্যাদি। লেখক নিজে যেহেতু শিশু তাই এই বইয়ের ভাষা ও বিষয় পুরোপুরি শিশুদের উপযোগী। মনোমুগ্ধকর বইটি শিশুদের বই পাঠের প্রতি আগ্রহী করে তুলবে এবং নিশ্চিতভাবে যেকোনো শিশুর লাইব্রেরির একটি মূল্যবান অংশ হয়ে উঠবে।

বইমেলা উপলক্ষে খুদে লেখক রূপকথা দাসের ‘ছোটদের মজার মজার গল্প’ বইটি প্রকাশ করেছে রূপসী বাংলা। বইটি পাওয়া যাচ্ছে বইমেলার ৫৭৫ নম্বর স্টলে।

লেখক রূপকথার বয়স ৯ বছর। সে সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের বারিধারা শাখায় চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে। সে চাকরিজীবী বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। বর্তমানে ঢাকার বাসিন্দা রূপকথার গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার কলাইয়া গ্রামে। ২০১৩ সালের ১৩ মার্চ চট্টগামে মাতুলালয়ে তার জন্ম।

গল্পের বই পড়তে রূপকথা ভীষণ ভালোবাসে। খুব ছোটবেলা থেকেই তার বই পড়ার অভ্যাস গড়ে ওঠে। প্রতি বৃহস্পতিবার বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের গাড়ি থেকে বই নিয়ে আসে আর সারা সপ্তাহজুড়ে তা পড়ে শেষ করে। বইয়ের প্রতি প্রচণ্ড ভালোবাসা থেকেই মাত্র ৭ বছর বয়সে দ্বিতীয় শ্রেণিতে অধ্যয়নরত অবস্থায় রূপকথা তার প্রথম গল্প লেখে। তার প্রথম লেখা গল্প ’মধু খাওয়ার গল্প’।

গত বছর বইমেলায় ঘুরতে গিয়ে রূপকথা ভীষণভাবে আনুপ্রাণিত হয় এবং বই প্রকাশে উদ্যোগী হয়। রূপকথার বেশ কয়েকটি গল্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের একটি সাহিত্য-বিষয়ক গ্রুপে প্রকাশিত হয়। সেখানে পাঠকরা তার লেখার ভূয়সী প্রশংসা করেন। রূপকথার গল্পগুলো শিশুতোষ কল্পনার এক চমৎকার নিদর্শন। তার গল্পগুলো শিশু পাঠকদের জন্য তৈরি এক কল্পনার জগত আর সৃষ্টি করে গল্প পাঠের প্রতি অবিরাম ভালোবাসা।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৩
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।