ঢাকা, রবিবার, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

স্মরণ

কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

মীম নোশিন নাওয়াল খান, নিউজরুম এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৪
কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

বাংলা সাহিত্যের এক অনন্য নাম শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। এই গুণী মানুষটির লেখার সঙ্গে তোমরা পরিচিত নিশ্চয়ই? পাঠ্যবইয়েও তার লেখা পড়ি আমরা।



১৮৭৬ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর শরৎচন্দ্র ভারতের হুগলি জেলার দেবানন্দপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মতিলাল চট্টোপাধ্যায় ও মা ভুবনমোহনী দেবী।

কৈশোর ও যৌবনের অধিকাংশ সময় শরৎচন্দ্র কাটিয়েছেন মাতুলালয়ে। তেজনারায়ণ জুবিলি কলেজিয়েট স্কুল থেকে এন্ট্রান্স পাস করে এফ.এ ক্লাসে ভর্তি হলেও অর্থাভাবে পড়াশোনা শেষ করতে পারেন নি।

১৯০৩-১৯০৬ সালে রেঙ্গুনে (বর্তমানে মায়ানমারের ইয়াংগুন) থাকাকালীন শরৎচন্দ্র চট্টোপাধায় সাহিত্য চর্চায় মনোনিবেশ করেন। ১৯০৭ সালে ভারতী পত্রিকায় তার উপন্যাস ‘বড়দিদি’ প্রকাশিত হয়। এটি বেশি পাঠকপ্রিয়তা পায়।

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উল্লেখযোগ্য উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে বড়দিদি, বিরাজবৌ, গৃহদাহ, পল্লীসমাজ, শ্রীকান্ত, পরিণীতা, চন্দ্রনাথ, দেবদাস, দত্তা, দেনা-পাওনা, পথের দাবী, শেষ প্রশ্ন, পণ্ডিতমশাই, বামুনের মেয়ে প্রভৃতি।

গল্পও লিখেছেন শরৎচন্দ্র। উল্লেখযোগ্য কিছু গল্প হলো- মেজদিদি, বিন্দুর ছেলে, পথ-নির্দেশ, আঁধারে আলো প্রভৃতি।

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সাহিত্যকর্ম নিয়ে ভারতীয় উপমহাদেশে তৈরি হয়েছে অনেকগুলো চলচ্চিত্র।   দেবদাস সেগুলোর মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয়।

তাকে বলা হয় বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক। সাহিত্যকর্মের স্বীকৃতি হিসেবে শরৎচন্দ্র কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগত্তারিণী স্বর্ণপদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি.লিট উপাধি পান।

১৯৩৮ সালের ১৬ জানুয়ারি কলকাতায় এই কালজয়ী সাহিত্যিকের মৃত্যু হয়। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় পাঠকের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন সবসময়। এই অসাধারণ কথাশিল্পীর প্রয়াণ দিবসে তার প্রতি রইল আমাদের শ্রদ্ধা ও সম্মান।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৩
সম্পাদনা: আসিফ আজিজ, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।