ঢাকা, রবিবার, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

প্রাণিরাজ্যের পেটুকেরা

অর্ণব রহমান | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৪
প্রাণিরাজ্যের পেটুকেরা

ওরা সারাক্ষণ কেবল খাই খাই করে। কারও বা আবার প্রমাণ সাইজের খাবার দেখলে হুঁশ থাকে না।

হোক না সে খাবার নিজ আয়তনের চেয়ে বড়, ঘপাত করে গিলে ফেলবে।

আর্জেন্টিনায় এক ধরনের বড় ব্যাঙ পাওয়া যায় যা আর্জেন্টাইন হর্নড ফ্রগ নামে পরিচিত। এটাকে প্যাকম্যান ফ্রগও বলা হয়। বাংলায় বলা যায় শিংওয়ালা ব্যাঙ। যাই বলো না কেন ব্যাঙটি কিন্তু বেজায় পেটুক। ছোট-খাটো পোকামাকড় তো খায়ই, ইঁদুর গিরগিটি পেলেও ঝাঁপিয়ে পড়ে। এমনকি তার চেয়ে বড় কোনো প্রাণীকেও চওড়া মুখ দিয়ে শিকার বানাতে পরোয়া করে না। ব্রাজিল এবং উরুরগুয়েতেও এই ব্যাঙের দেখা পাওয়া যায়।



পেটুক বা খাদক হিসেবে শুঁয়োপোকার জুড়ি মেলে না। একটি শুঁয়োপোকা ২০ দিনেরও কম সময়ে তার ওজন ১০ হাজার গুণ বাড়াতে পারে! আর তা বাড়ায় গাছের লতাপাতা বা ছাল বাকল খেয়ে।



খুদে প্রাণীর কথা যখন এসেই গেলো তখন পৃথিবীর সবচেয়ে ছোটো পাখি হামিংবার্ডই বা বাদ থাকে কেন? সাইজে ওরা এইটুকুন হলে কি হবে? খাদক হিসেবে ওরা কিন্তু ভয়ংকর। প্রতি ১০ মিনিট পর পর খাবার চাই ওদের। একটি হামিংবার্ড দিনে গড়ে কতটুকু খাবার খায় জানো? তার শরীরের ওজনের দুই তৃতীয়াংশ পরিমাণ।



মাটি আর আকাশের পেটুকদের কথা তো বলা হলো। এবার একটু পানির নিচে ঘুরে আসা যাক। টাইগার শার্ক বলে যে বাঘা হাঙ্গর রয়েছে, দুনিয়ার কোনো খাদক ওদের সঙ্গে টক্কর দিতে পারবে না। কারণ ওরা সামনে যা দেখে তাই খায়। শিকারিরা এসব হাঙ্গর ধরার পর পেট চিরে স্যামন মাছ বা কাছিমের মতো উপাদেয় খাবারের সঙ্গে মানুষের জুতা, টিনের পাত্র, লোহার বর্ম ইত্যাদিও পেয়েছেন।
 

পানিতে বাসকারী আরেক পেটুকরাজ হলো নীলতিমি। একটি নীলতিমি গড়ে প্রতিদিন সাড়ে তিন হাজার কেজির বেশি খাবার খেয়ে থাকে। খাবারের তালিকায় সবচেয়ে বেশি থাকে ক্রিল বলে এক ধরনের খুদে সামুদ্রিক প্রাণী।



রক্তচোষা নিশাচর প্রাণী বা ভ্যাম্পায়ার গল্প-উপন্যাসে দাপিয়ে বেড়ালেও আসল রক্তচোষা হলো ‘ভ্যাম্পায়ার ব্যাট’। এরা একধরনের বাদুড়। রক্ত ছাড়া বেঁচে থাকতে পারে না। এরা প্রতিদিন বিভিন্ন প্রাণীর শরীর থেকে নিজ ওজনের বেশি পরিমাণ রক্ত পান করে।


‘তাসমানিয়ান ডেভিল’ বলে অস্ট্রেলিয়ায় এক ধরনের স্তন্যপায়ী মাংসাশী প্রাণী রয়েছে। এরা সাধারণত মৃত প্রাণী পছন্দ করে। মাত্র আধা ঘণ্টায় প্রাণীটি নিজ ওজনের ৪০ শতাংশ খাবার সাবাড় করতে পারে!

ইচ্ছেঘুড়িতে লেখা পাঠান এই মেইলে: [email protected]

বাংলাদেশ সময়: ১১৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।