ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

ইচ্ছেঘুড়ি

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর: মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি

মীম নোশিন নাওয়াল খান, নিউজরুম এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৩ ঘণ্টা, আগস্ট ৬, ২০১৪
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর: মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি

মনে করো যেন বিদেশ ঘুরে
মাকে নিয়ে যাচ্ছি অনেক দূরে,
তুমি যাচ্ছ পালকিতে মা চড়ে
দরজা দুটো একটুকু ফাঁক করে,
আমি যাচ্ছি রাঙা ঘোড়ার ‘পরে,
টগবগিয়ে তোমার পাশে পাশে...

এরপর কী হলো জানতে ইচ্ছে হচ্ছে? জানতে চাইলে পড়ে ফেলো ‘বীরপুরুষ’ কবিতাটি। চমৎকার এ কবিতাটি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা।

‘বীরপুরুষ’ ছোটদের কল্পনা জগতের প্রতিচ্ছবি। শুধু এ কবিতা নয়, ছোটদের জন্য রবীন্দ্রনাথের লেখা সবগুলো ছড়া, কবিতা, গল্পই অসাধারণ।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে আমরা সবাই চিনি। পুরো পৃথিবী তাকে চেনে বিশ্বকবি হিসেবে। ১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ বৈশাখ কোলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে জন্ম রবি ঠাকুরের। তার বাবার নাম মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর।

রবীন্দ্রনাথ অভিজাত পরিবারের সন্তান ছিলেন। কিন্তু নিয়মিত প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেওয়া হয় নি তার। ১৭ বছর বয়সে লেখাপড়া করতে দেশের বাইরে গিয়েছিলেন, কিন্ত ফিরে এসেছেন পড়া শেষ না করেই।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম কাব্য প্রকাশিত হয়েছিল যখন তার বয়স মাত্র পনের বছর। কাব্য, উপন্যাস, ছোটগল্প, প্রবন্ধ, গান- সাহিত্যের সকল শাখাতেই  বিচরণ করেছেন তিনি। শুধু বড়দের জন্যই লেখেন নি, লিখেছেন ছোটদের জন্যও। তিনি ছিলেন সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ, সুরকার, গীতিকার, চিত্রশিল্পী, নাট্যকার, নাট্যপ্রযোজক এবং অভিনেতা।

১৯১৩ সালে প্রথম বাঙালি হিসেবে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এছাড়া বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় সঙ্গীতও তার লেখা।
১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২২ শ্রাবণ (৭ আগস্ট, ১৯৪১) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মৃত্যুবরণ করেন।

বাংলা সাহিত্যকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন রবীন্দ্রনাথ। বাংলা সাহিত্যে তার অবদান অসামান্য। তাই তো তিনি আজও বেঁচে আছেন আমাদের হৃদয়ে, থাকবেন সবসময়।



বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।