ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

ইচ্ছেঘুড়ি

রূপকথার পঙ্খীরাজ

মীম নোশিন নাওয়াল খান, নিউজরুম এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৫
রূপকথার পঙ্খীরাজ

রূপকথা শব্দটা শুনলেই হারিয়ে যেতে হয় এক অন্য জগতে। সেই জগতে রাজকন্যা থাকে, রাজা-রানী, রাজকুমার থাকে, দৈত্য-দানো থাকে আর থাকে অদ্ভুত সব প্রাণী।

রূপকথার মাধ্যমে অনেক আশ্চর্য প্রাণীর সঙ্গে পরিচিত হই আমরা। সেসব প্রাণীগুলোর মধ্যে খুব জনপ্রিয় একটি হচ্ছে পঙ্খীরাজ বা পক্ষীরাজ ঘোড়া।

অনেক রূপকথায়ই পঙ্খীরাজের কথা আছে। পঙ্খীরাজ মূলত এক ধরনের সুন্দর ঘোড়া, যেটা কি-না উড়তে পারে। গল্পের মাধ্যমে নিশ্চয়ই এই প্রাণীটার সঙ্গে তোমরা খুব ভালো করে পরিচিত হয়ে গেছ। তবুও পঙ্খীরাজের ব্যাপারে আমাদের জল্পনা-কল্পনা, প্রশ্নের শেষ নেই।

তোমরা কি জানো কোথা থেকে কীভাবে এলো পঙ্খীরাজের গল্প?
পঙ্খীরাজ ঘোড়ার কথা মূলত এসেছে গ্রিক পুরাণ থেকে। গ্রিক পুরাণ অনুযায়ী পার্সিয়াস যখন মেডুসার মাথা কেটে ফেলেন, তখন তার কণ্ঠনালীর রক্ত থেকে জন্ম হয় পেগাসাস বা পঙ্খীরাজের। তার গায়ের রং ছিল ধবধবে সাদা এবং তার পিঠে দুটো সুন্দর সাদা পাখা ছিল। পুরাণ অনুযায়ী গ্রিক দেব-দেবী পজেইডন এবং মেডুসার সন্তান পেগাসাস।

পেগাসাসকে নিয়ে অনেক গল্প আছে গ্রিক পুরাণে। পরবর্তীতে এই গল্পগুলো থেকেই সৃষ্টি হয় আজকের রূপকথার কাল্পনিক চরিত্র পঙ্খীরাজ ঘোড়া। এরপর বিভিন্ন গল্পে বিভিন্ন রূপে ফিরে এসেছে পঙ্খীরাজ। শুধু গ্রিক পুরাণ নয়, পঙ্খীরাজের কথা পাওয়া যায় প্রায় সব দেশের রূপকথাতেই। তবে গ্রিকদের হাত ধরেই সৃষ্টি এই পৌরাণিক জন্তুটির।

এখনো পঙ্খীরাজ ঘোড়া রূপকথার গল্পে আগের মতোই আকর্ষণীয় একটি প্রাণী। তবে আজকাল আর আগের মতো কেউ বিশ্বাস করে না সত্যিই আকাশে একটা সাদা ঘোড়াকে উড়তে দেখা যাবে। কিন্তু গল্পের বইয়ে পঙ্খীরাজকে উড়তে দেখতে অবশ্য সবাই এখনো ভালোবাসে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।