ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

ইচ্ছেঘুড়ি

একুশের ভাষাশহীদ আব্দুল জব্বার

মীম নোশিন নাওয়াল খান, নিউজরুম এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৫
একুশের ভাষাশহীদ আব্দুল জব্বার

ঢাকা: আব্দুল জব্বার। যে বীর বাঙালিদের রক্তের বিনিময়ে বাংলা ভাষা পেয়েছিল যথাযথ মর্যাদা, তাদেরই একজন।

তার জন্ম ১৯১৯ সালে ময়মনসিংহের পাঁচাইর গ্রামে। বাবার নাম হাসান আলী ও মা সাফাতুন নেছা।

ধোপাঘাট কৃষিবাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা শুরু করেন জব্বার। কিন্তু দারিদ্র্যের কারণে তা শেষ করতে পারেন নি তিনি। বাবাকে কৃষিকাজে সহযোগিতা করতে লেখাপড়া ছাড়েন।

১৫ বছর বয়সে বাড়ি থেকে পালিয়ে নারায়ণগঞ্জে চলে যান। সেখানে এক ইংরেজ সাহেবের সঙ্গে পরিচয় হলে তিনি জব্বারকে মায়ানমারে একটি চাকরি দেন। এরপর ১০-১২ বছর সেখানেই ছিলেন জব্বার।

মায়ানমার থেকে ফিরে আমেনা বেগম নামে একজনকে বিয়ে করেন জব্বার। তাদের একটি ছেলে হয়।

ছেলে হওয়ার কিছুদিন পরই জব্বারের শাশুড়ির ক্যান্সার ধরা পড়ে। ১৯৫২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। শাশুড়িকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে জব্বার ঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাত্রদের আবাসস্থলের একটি রুমে নিজের থাকার ব্যবস্থা করেন।

২১ ফেব্রুয়ারি ছাত্র-জনতা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। এরপর তাদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়। চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে বাইরে বেরিয়ে আসেন জব্বার। ঠিক তখনই ছাত্রদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে পুলিশ, নির্বিচারে চালাতে থাকে গুলি। গুলিবিদ্ধ হন জব্বার। হাসপাতালে নেওয়া হলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।   

আমাদের প্রিয় মাতৃভাষা বাংলার জন্য জীবন দিতে কার্পণ্য করেন নি জব্বার। আমরা তাকে কখনো ভুলব না।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।