ঢাকা, বুধবার, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২, ১৪ মে ২০২৫, ১৬ জিলকদ ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

একটি শিশির বিন্দু

মীম নোশিন নাওয়াল খান, নিউজরুম এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:২৩, মার্চ ৪, ২০১৫
একটি শিশির বিন্দু

‘দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া / ঘর হইতে দুই পা ফেলিয়া
একটি ধানের শীষের উপর/ একটি শিশির বিন্দু। ’

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই লেখায় চমৎকারভাবে ধরা পড়েছে শিশিরফোঁটার সৌন্দর্য।

স্নিগ্ধ ভোর কিংবা ক্লান্ত সন্ধ্যায় আমরা ঘাসের উপরে ঝিলমিল করতে দেখি শিশিরবিন্দু। কখনো কি ভেবে দেখেছ, এই শিশির আসলে কীভাবে তৈরি হয়?

বাতাসে আরো অনেক উপাদানের সঙ্গে থাকে জলীয় বাষ্প। তাপমাত্রা কমে গেলে সেই বাষ্প ঠাণ্ডা হতে থাকে এবং একসময় পানিতে পরিণত হয়, তৈরি করে ছোট ছোট পানির ফোঁটা। তারপর তা জমা হয় ঘাসের উপরে, পাতার কোলে। এটাই শিশির।

যেহেতু শীতকালে তাপমাত্রা কম থাকে, তাই শীতকালেই শিশিরবিন্দুর উপস্থিতি থাকে সবচেয়ে বেশি। তবে অন্য ঋতুতেও শিশির জমে। সাধারণত সন্ধ্যার পর থেকে তাপমাত্রা তুলনামূলকভাবে কমতে থাকে। তাই সন্ধ্যার পর থেকে ভোর পর্যন্ত প্রকৃতিকে সিক্ত করে মুক্তোর মতো শিশিরের বিন্দু।

তবে সূর্য ওঠার পর সূর্যের তাপে তাপমাত্রা বাড়তে থাকে, ফলে তাপ পেয়ে আবার বাষ্পতে পরিণত হয় শিশির। সেই বাষ্প বাতাসে মিশে যায়, তাপমাত্রা কমে গেলে আবার তা শিশিরের রূপ ধারণ করে।

সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই কিন্তু শিশির মিলিয়ে যায় না। ধীরে ধীরে হাওয়ায় মিলিয়ে যাওয়ার আগে সকালের প্রথম রোদে ঠিকই ঝলমল করে ওঠে প্রকৃতির এই অপরূপ সৃষ্টি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৪ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।