‘রহস্য’ শব্দটা শুনলেই বুক ঢিপঢিপ করে ওঠে, জ্বলজ্বল করে ওঠে চোখ। অদ্ভুত এক অনুভূতি কাজ করে নিজের ভেতর।
যারা সমাধান করার জন্য কোনো রহস্য খুঁজছ এবং ভালো কিছু খুঁজেই পাচ্ছ না, তাদের জন্য আজ দিচ্ছি বিশ্বের তিনটি অমীমাংসিত রহস্যের খোঁজ। বহুকাল ধরে অসংখ্য মানুষ এসব রহস্যের কোনো সমাধান করতে পারেনি। চেষ্টা করে দেখো তো, তোমরা পারো কি না।
![](files/June_2015/June_05/1mmm_522073881.jpg)
উলপিটের সবুজ শিশু
দ্বাদশ শতাব্দীতে ইংল্যান্ডের উলপিটে দু’জন শিশুকে পাওয়া যায়। তাদের সবকিছুই অন্য সবার মতোই সাধারণ ছিলো। কিন্তু তাদের গায়ের রং ছিলো সবুজ। তারা দু’জন ভাইবোন। এক অজানা ভাষায় কথা বলত তারা এবং সিম ছাড়া অন্য কিছু খেত না। পরবর্তীতে শিশু দু’টি ইংরেজি ভাষা শেখে এবং বোনটি জানায় যে তারা দু’জন মাটির নিচে সেন্ট মার্টিন’স ল্যান্ড বলে একটি দেশ থেকে এসেছে, যেখানকার সব মানুষের গায়ের রং সবুজ। আসলে শিশু দু’জন কীভাবে কোথা থেকে এসেছিলো এবং কেন তাদের গায়ের রং সবুজ ছিলো, তা আজও অজানা।
![](files/June_2015/June_05/2mmm_150196850.jpg)
পলক যমজ
১৯৫৭ সালের ৫ মে জ্যাকলিন এবং জোয়ানা নামের দুই বোন এক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। এর পরের বছর তাদের বাবা-মা জন ও ফ্লোরেন্সের যমজ সন্তান হয়। মজার কথা সন্তানদের জন্মের আগে ডাক্তার বলেছিলেন তাদের একটি সন্তান হবে, কিন্তু জন খুব দৃঢ়ভাবে বলতেন, তাদের দুটি সন্তান হবে। তিনি আরও বলতেন যে তাদের মৃত মেয়েরা এই সন্তানদের মাধ্যমে ফিরে আসবে, তাদের পুনর্জন্ম হবে।
আশ্চর্য ব্যাপার হলো তাদের সত্যিই দু’টি যমজ মেয়ে হয় যাদের নাম রাখা হয় জিলিয়ান পলক ও জেনিফার পলক। এবং সবচেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার তারা তাদের মৃত বোনদের মতো কথা বলত। তাদের মৃত বোনরা যে স্কুলে পড়ত, সে স্কুল দেখিয়ে তারা বলত যে তারা সেখানে পড়ত। বড় বোনদের প্রতিটি পুতুল ও টেডি বিয়ারের নাম তারা বলতে পারত এবং তারা বলত এগুলো তাদেরই ছিলো।
শুধু তাই নয়, যেখানে সড়ক দুর্ঘটনায় তাদের দুই বোনের মৃত্যু হয়, সেই জায়গাটিও তারা দেখেই চিনে ফেলে এবং চিৎকার দিয়ে বলে ওঠে, ‘গাড়িটা আমাদের দিকে ছুটে আসছে! মেরে ফেলবে!’ অথচ মৃত বোনদের ব্যাপারে এসব কোনো কথাই পরিবার থেকে তাদের জানানো হয়নি। তারা তাদের বড় বোনদের প্রতিটি স্মৃতিই স্মরণ করতে পারত। পাঁচ বছর বয়স হওয়ার পর তাদের স্মৃতিগুলো আস্তে আস্তে মুছে যায় এবং তারা স্বাভাবিক জীবনযাপন শুরু করে। কিন্তু কেন, কীভাবে তারা তাদের বোনদের স্মৃতি মনে করতে পারত তা কখনো জানা যায়নি। পুনর্জন্ম বলে সত্যিই কিছু আছে কি না- সে প্রশ্ন আবারো সামনে আসে পলক যমজ বোনদের ঘটনার পর থেকে।
![](files/June_2015/June_05/3mmm_167724711.jpg)
ব্যুভেট দ্বীপের লাইফবোট
বিশ্বের সবচেয়ে নির্জন জায়গাগুলোর মধ্যে একটি ব্যুভেট দ্বীপ। এর সবচেয়ে কাছে যে ভূমি আছে তা অ্যান্টার্কটিকা, যার দূরত্ব এখান থেকে ১৭০০ কিলোমিটারেরও বেশি। এই দ্বীপে কখনো মানুষের পা পড়েনি। কোনো মানুষ এখানে বসবাসও করেনি, কারণ এই স্থানটি গাছ গজানোর অনুপযোগী। ফলে এখানে গাছ নেই, নেই খাদ্যশস্যের উৎসও।
কিন্তু ১৯৬৪ সালে যখন ব্রিটিশ অভিযাত্রী দল এখানে আসে, তখন এই দ্বীপে একটি লাইফবোট পাওয়া যায়। লাইফবোটটি বেশ ভালো অবস্থায় ছিলো। এর আশেপাশে ছিলো কাঠ, ড্রাম ইত্যাদি। কিন্তু অনেক খুঁজেও অভিযাত্রী দলটি দ্বীপে বা তার আশেপাশে কোনো মানুষের সন্ধান বা চিহ্ন পায়নি। আরও আশ্চর্য ব্যাপার হলো পরবর্তীতে আরেক দল অভিযাত্রী ওখানে গেলে দেখা সেই লাইফবোট বা এর সঙ্গের অন্যান্য জিনিসপত্রের কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। আজও কেউ জানে না, ওই লাইফবোট কীভাবে ওখানে গিয়েছিলো, কারা ওতে ছিলো বা তাদের কী হয়েছিলো।
![](files/June_2015/June_01/ichchheghuril_Inner__628645793.jpg)
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩১ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০১৫
এএ