ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

ইচ্ছেঘুড়ি

মীমের চতুর্থ মীনা অ্যাওয়ার্ড জয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৫
মীমের চতুর্থ মীনা অ্যাওয়ার্ড জয় ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: বাংলানিউজের সর্বকনিষ্ঠ নিউজরুম এডিটর মীম নোশিন নাওয়াল খান চতুর্থবারের মতো পেলো মীনা অ্যাওয়ার্ড। শিশু-কিশোরদের সবচেয়ে বড় ও মর্যাদার এ পুরস্কারের জন্য ক্রিয়েটিভ রাইটিং অনূর্ধ্ব-১৮ শাখায় পঞ্চমবার মনোনয়ন পাওয়া মীমের এটি চতুর্থ পুরস্কার।



মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে এ পুরস্কার তুলে দেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ও ইউনিসেফের শুভেচ্ছা দূত যাদুশিল্পী জুয়েল আইচ এবং চিত্রনায়িকা মৌসুমী। ইউনিসেফ বাংলাদেশের সহকারী প্রধান লুইস ভোনো এসময় উপস্থিত ছিলেন।

ইউনিসেফ ২০০৫ সাল থেকে ক্রিয়েটিভ ও জার্নালিস্টিক দুই ক্যাটাগরিতে এ পুরস্কার দিয়ে থাকে।

এবার ছিল শিশু-কিশোরদের জন্য সবচেয়ে সম্মানজনক এ অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানের ১১ম আসর।

মূলত সৃজনশীল ও সাংবাদিকতা এই দুই শ্রেণীতে প্রিন্ট, টেলিভিশন ও রেডিও মাধ্যসেমর মধ্য থেকে নির্দিষ্ট বয়সসীমার ভিত্তিতে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।

মীমের পাওয়া পুরস্কার
২০১০ সালে মীম পেয়েছিলো প্রিন্ট মিডিয়া সৃজনশীল অনূর্ধ্ব-১৮ বিভাগে প্রথম পুরস্কার। ২০১৩ সালে একই বিভাগে পায় দ্বিতীয় পুরস্কার। ২০১১ সালেও মনোনয়ন পায়। ২০১৪ সালের মতো মীম এবারও পেয়েছে দ্বিতীয় পুরস্কার। এ শাখায় প্রথম হয়েছে ফারাহ বিনতে আতাহার, ত‍ৃতীয় হয়েছে ফারাহ ফৌজিয়া অতসী।

পুরস্কার হিসেবে মীম পেয়েছে পঞ্চাশ হাজার টাকার চেক, একটি সার্টিফিকেট ও সম্মাননা পদক।

মীমের লেখালেখি
বেড়ে ওঠাটা ঢাকায় হলেও মীমের শেকড় ফরিদপুর জেলা শহর। সেখানকার স্থানীয় পত্রিকা ফরিদপুর বার্তায় ছাপা হয় প্রথম ছড়া। লেখালেখির হাতেখড়ি সেখানেই।

এরই মধ্যে ভিকারুন নিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী মীমের ছয়টি বই প্রকাশিত হয়েছে। প্রথম বই ‘কণকচাঁপা’ (ছড়া) প্রকাশিত হয় ২০০৯ সালে। তৃতীয় শেণীর ছাত্রী তখন মীম। এ বইয়ের মাধ্যমেই দেশের কনিষ্ঠতম গ্রন্থলেখক হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে তার।

প্রথম গল্প ‘বুকের ভিতর স্বপ্ন’ দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়াকালে লেখা। সবুজ পাতায় ছাপা হয়েছিল পরের বছর। তার এক বছর পরই মীনা অ্যাওয়ার্ডে প্রিন্ট মিডিয়া ক্রিয়েটিভ আন্ডার এইটিন প্রথম পুরস্কার অর্জন। দ্বিতীয় গল্প ‘নানুর একটা জগত আছে’ ঐতিহ্য গোল্লাছুট গল্প লেখা প্রতিযোগিতা ২০০৯-এ অন্যতম সেরা।

দৈনিক যায়যায়দিন, প্রথম আলো, আলোকিত বাংলাদেশ, মাসিক শিশু, নবারুণ ও সবুজ পাতাসহ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত প্রকাশিত হয় মীমের লেখা।

লেখালেখি ছাড়াও ছবি আঁকা, গ্লাস পেইন্টিং, ফটোগ্রাফি ও বিভিন্ন রকম হ্যান্ডমেইড কাজেও পারদর্শী মীম।

মীমের বইগুলো
দ্বিতীয় বই স্বপ্নপুরী (ছড়া) ২০১০ সালে, ৩য় বই বুকের ভিতর স্বপ্ন (গল্প) ২০১১ সালে, ৪র্থ বই রূপার নূপুর (গল্প) ২০১২ সালে এবং ৫ম বই একজন ক্লাস ক্যাপ্টেনের ডায়রি (কিশোর উপন্যাস) ২০১৩, সালে প্রকাশিত হয়। ২০১৪ সালের বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে ‘খেয়া এবং... সহ মীমের আরও দুটি বই।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৫
এসএ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।