আজ বৈশাখ এলো বুঝি ধরায়
কে আছো তাকে করিবে বরণ?
চারিদিকে রমণীর বাসন্তী শাড়ির-
সাজে, মনে জাগে এক নব শিহরণ।
নক্ষত্রের মতো কচি-কাঁচা মুখগুলো
যেন সদ্য ফোঁটা এক শুভ্র ফুল;
তব দর্শনে চোখ জুড়ে আসে প্রসন্ন
ঝরে যাক ছোট-খাট অজানা ভুল।
ফুল-ফল, পথ-ঘাট, নদী-নালা
যা কিছু প্রকৃতির দৃশ্যমান;
যেন বৈশাখী বরেণ্য কবির কাব্যে
সবি জাগতিক ধারায় বহমান।
কত স্বপ্ন সঞ্চায়িত হয় নারীর-
লাল-হলুদ শাড়ির আল্পনা সাজে;
কত গুঞ্জন, রং-বেরঙের আয়োজনে
ডুবে যাই বৈশাখী আনন্দের মাঝে।
এসো, এসো হে বৈশাখ বাঙলার-
প্রতিটি চত্বরকে মুখরিত করে;
এসো, হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে সুখ-দুঃখ
করি ভাগা-ভাগি একে অপরের তরে!
নব বৈশাখ
বিপুল খুশির ঢল নেমেছে
বাংলা নব বর্ষে;
চারিদিকে জমছে মেলা
শিশু-কিশোর হর্ষে।
রং-বেরঙের পোশাক যেন
ঈদ আনন্দের মত;
পান্তা-ইলিশ খাবে সবাই
হোক না খরচ যত।
বাংলা যেন নববধূ
অতি রঙে সজ্জিত;
নাচে-গানে বিভোর হয়ে
মহা সুখে রঞ্জিত।
রং লেগেছে সবার মনে
নব বৈশাখ পেয়ে;
কাটুক আঁধার চিরতরে
আসুক আলো ধেয়ে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১৬
এএ