এক সুন্দরী মুরগি তার মা-বাবার সঙ্গে একটা ঝুপড়িতে থাকতো। একদিন সে বাড়ির উঠানে গম খাচ্ছিলো।
দু’পক্ষের কথা পাকা হলে বাজপাখি পরদিনই মুরগিকে নিজের বাড়িতে নিয়ে এলো। এদিকে মুরগির বাবার বাড়ির পাশে থাকতো এক মোরগ। যার সঙ্গে মুরগির খুব ভাব ছিলো, কিন্তু বাজপাখিকে বিষয়টা সে গোপন করে গেছে। মোরগ ঠিক করলো, সে মুরগিকে নিজের কাছে ফিরিয়ে আনবে। তাই সে একদিন বাজপাখি আর মুরগির বাড়ির কাছে গিয়ে ডানা ঝাপটিয়ে কুককুরুক্কু বলে ডেকে উঠলো। তার মিষ্টি ডাক শুনে মুরগি বাইরে না এসে পারলো না। তারা দু’জন হাত ধরে পথের দিকে এগুতে লাগলো। কিন্তু তখনই বাজপাখি ওপর দিয়ে উড়ে যাচ্ছিলো। ব্যাপারটা লক্ষ্য করে সে তো গেলো ভীষণ রেগে। ঠিক করলো, রাজার কাছে এ ঘটনার উচিত বিচার চাইবে। তাই সে দেরি না করে রাজাকে পুরো ঘটনা জানালো ও এর উচিত বিচার চাইলো। রাজা মুরগির বাবা-মাকে ডেকে পাঠালেন এবং তাদের আদেশ করলেন- বিয়ের সময় বাজপাখি যে পরিমাণ গম মুরগির পরিবারকে দিয়েছিলো তা তাকে আবার ফিরিয়ে দিতে। তখন মুরগির বাবা-মা জানালো, তারা খুবই গরিব, এই পরিমাণ গম তাদের ফিরিয়ে দেওয়ার সামর্থ্য নেই। তখন রাজা বাজপাখিকে বললেন, তুমি তোমার দেওয়া গমের বিকল্প হিসেবে ওই মোরগ-মুরগির বাচ্চা ধরে ধরে খেতে পারো। এতে যদি মোরগ কোনো নালিশ করে তাহলে তা আমি শুনবো না।
তখন থেকে আজ পর্যন্ত বাজপাখি যখনই কোনো মুরগির বাচ্চা দেখে তখনই হন্যে হয়ে আক্রমণ করে বসে। কারণ, এটা তার দেওয়া যৌতুকেরই অংশবিশেষ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৬
এসএমএন/এসএনএস