আমরা দিনে কাজ করি আর রাতে ঘুমাই। নিশাচর প্রাণী ছাড়া প্রায় সব প্রাণীই এ রুটিন মেনে চলে।
রাতে ঘুমানোর সঙ্গে আমাদের দৈহিক তিনটি প্রক্রিয়া জড়িত। প্রথমত, বায়োলজিক্যাল ক্লক। আমাদের দেহঘড়ি ২৪-২৫ ঘণ্টার একটি রুটিন মেনে চলে। এই সময়টা আলোর সঙ্গে সম্পৃক্ত। এটিই আমাদের সংকেত দেয় রাত, দিন, অন্ধকার ও আলো সম্পর্কে। দেহঘড়ি অনুযায়ী আমাদের মস্তিষ্ক ঘুম আর জেগে ওঠার সময় নির্ধারণ করে।
দ্বিতীয় প্রক্রিয়া হয় চোখের মাধ্যমে। অামাদের চোখ দিন রাতের তফাত টের পায় ও পরিবেশ বোঝে। এবার এসো আসল কথায়। ঘুম ও জেগে ওঠার ব্যাপারটা মূলত নিয়ন্ত্রণ করে মেলাটোনিন নামের একটি হরমোন। যার নিঃসরণ আলোর উপস্থিতিতে বাধাপ্রাপ্ত হয়। আলোর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উৎস হচ্ছে সূর্য। এ আলোয় মেলাটোনিন সঠিকভাবে নিঃসৃত হতে পারে না। ফলে আলোর তীব্রতা যখন থাকে না বা আলোর অনুপস্থিতিতে এ হরমোন পর্যাপ্ত পরিমাণে নিঃসৃত হতে পারে। এতে ওই সময় আমাদের বডি রিল্যাক্স মোডে অবস্থান করে ও ঘুম পায়।
অনেকেই বলতে পারো, দিনেও তো অনেকে খুব ঘুমায়। সেটা কী করে হয়? বলছি, দেহঘড়ির সময় সংকেত চাইলে বদলে নেওয়া যায়। যদিও এটি সময়সাপেক্ষ। সহজে বলতে গেলে, একটু খেয়াল করলে দেখবে যেসব ঘরে সূর্যের আলো পৌঁছে না সেখানে বাতি নেভানো অবস্থায় পুরোপুরি অন্ধকার অনুভূত হয়। তখন চোখ ও হরমোন তাদের কাজে লেগে পড়ে। আর দেহঘড়ির কথা তো জানলেই।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৩ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০১৬
এসএমএন/এএ