আজবপুরীর উল্টোবুড়ির বয়স যে চার কুড়ি,
উল্টো কাজে উল্টো কথায় নেই তার কোনো জুড়ি।
কেউ যদি খুব চিমটি কাটে খিলখিলিয়ে হাসে,
কাতুকুতু কেউ তো দিলো চোখের জলে ভাসে।
লঙ্কা দিয়ে পান চিবিয়ে সালুনে দেয় চুন,
পায়েস রাঁধে মিষ্টি ছাড়া দেয় ঢেলে সব নুন।
টবে লাগায় আমের চারা ঝুমকোলতা মাঠে,
খাটের তলে ঘুমিয়ে থাকে বিড়াল ঘুমায় খাটে।
সকাল দুপুর বেঘোর ঘুমে রাত্রে থাকে জেগে,
হাসির ছবি দেখলে পরে ভীষণ ওঠে রেগে।
বৃষ্টি হলে জামা কাপড় শুকোতে দেয় ছাদে,
আকাশ ভরে রোদ উঠলে গাল ফুলিয়ে কাঁদে।
দিনের বেলা ফ্যাকাশে মুখ রাত্রি হলে সাজ
সবকিছুতে, সবসময় উল্টো বুড়ির কাজ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩২ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৬
এএ