ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

শুভ জন্মদিন হ্যারি পটার

ইচ্ছেঘুড়ি ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭০৩ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১৬
শুভ জন্মদিন হ্যারি পটার

ঢাকা: শুভ জন্মদিন ‘দ্য বয় হু লিভড!’ কালো জাদুকর ভোল্ডেমোর্টের জাদু উপেক্ষা করে বেঁচে ছিলো ছেলেটি। তারপর সেই হলো বিশ্বসেরা জাদুকর হ্যারি পটার (দ্য বয় হু লিভড)।

পুরো নাম হ্যারি জেমস পটার। জে কে রাউলিংয়ের উপন্যাস অনুযায়ী, ১৯৮০ সালের ৩১ জুলাই তার জন্ম। এবছর তার বয়স হলো ৩৬ বছর।  

টুকটুকে লালচে গাল, ভ্রু ঢেকে দেওয়া কালো চুল আর গোল ফ্রেম চশমা পরা ক্ষুদে জাদুকরকে না দেখেই ভালোবেসে ফেলেছিলো লাখ লাখ পাঠক। এরপর হ্যারি পটার সিরিজের চলচ্চিত্রগুলো মুক্তি পাওয়ার পর জাদুর পৃথিবী আরও জীবন্ত হয়ে উঠলো পটারভক্তদের চোখে।  


হাফ ব্ল‍াড উইজার্ড হ্যারি পটার জাদুকর জেমস ও লিলি পটারের একমাত্র সন্তান। কালো জাদুকর লর্ড ভোল্ডেমোর্ট হ্যারি পটারকে হত্যা করতে অন্ধকার রাতে জেমস-লিলি দম্পতির বাড়ি যায়। কারণ প্রফেসি থেকে ভোল্ডেমোর্ট জেনেছিলো- জুলাই মাসের শেষে জন্ম নেওয়া এই ছেলেটিই হবে তার ধ্বংসের মূল। হবে বিশ্বসেরা জাদুকর। ভোল্ডেমোর্টের আক্রোশ থেকে সন্তানকে বাঁচাতে প্রাণ হারায় লিলি ও জেমস পটার। অথচ মাত্র এক বছর তিন মাস বয়সী হ্যারি পটারকে দিয়ে জাদুকাঠি তাক করতেই নিজের সমস্ত শক্তি হারিয়ে ফেলে ভোল্ডেমোর্ট। এটি ছিলো হ্যারি পটারের প্রথম জাদুবিদ্যার যুদ্ধ। অস্পৃশ্য যুদ্ধের একটি ক্ষত রয়ে যায় হ্যারির কপালে। বিদ্যুৎ রেখার দাগটিই পরবর্তীতে তাকে জানান দেয় ভোল্ডেমোর্টের পুনরুজ্জীবনের সংকেত। সে থেকেই তার নাম হয় ‘দ্য বয় হু লিভড’।

হোগওয়ার্টস স্কুল অব উইচক্রাফট অ্যান্ড উইজাড্রির প্রিন্সিপাল আলবাস ডাম্বলডোর একটি শক্তিশালী রক্ষাকবচ দিয়ে হ্যারি ছোট্ট হ্যারি পটারকে তার মাগল খালা পেতুনিয়ার বাড়িতে রেখে আসেন। এই কবজ হ্যারির ১৭ বছর বয়স অব্দি কার্যকর ছিলো। এরপর হ্যারি নিয়েই নিজেকে রক্ষা করেছে। পেতুনিয়া ও তার স্বামী ভার্নন ডার্সলির পরিবারে হ্যারি বরবরই ছিলো অবহেলিত। কিন্তু জাদুর পৃথিবীতে যে সে এতটাই জনপ্রিয় তা হ্যারি নিজেই জানতো না।  

বিস্ময় ঘটলো তার ১১তম জন্মদিনে। হোগওয়ার্টস থেকে দানবীয় শিক্ষক রুবিয়াস হ্যাগ্রিড এসে হ্যারিকে নিয়ে যান হোগওয়ার্টসের পথে। ১৯৯১ সালে স্কুলে প্রথম বর্ষে ভর্তি হওয়ার পর হ্যারি প্রধান চারটি হাউজ থেকে গ্রিফিন্ডর হাউজে মনোনয়ন পায়। সেখানে তার রন উইজলি ও হারমিওন গ্রেঞ্জার নামে দুটো মিষ্টি বন্ধু জোটে। যারা বরাবরই তার পাশে ছিলো। বিখ্যাত কুইডিচ খেলায় সেরা সিকার, হাউজ টিমের ক্যাপটেন, দু’দুটো কুইডিচ কাপ জেতার সাফল্য ছিলো হ্যারির কাছে। প্রথম বর্ষেই সে ভোল্ডেমোর্টের কবল থেকে উদ্ধার করে ফিলোসফার্স স্টোন। একে একে প্রতি বছরে চেম্বার অব সিক্রেটস এর রহস্য উদঘাটন, পেট্রোনাস তৈরি, ট্রাই উইজার্ড টুর্নামেন্ট জয়ী হয় সে।  

এরপর পঞ্চম বর্ষে ওঠার পর ভোল্ডেমোর্ট সক্রিয় হয়ে উঠলে ব্যাটল অব ডিপার্টমেন্ট অব মিসটেরিসে ডাম্বলডোর আর্মিতে লড়াই করে মিস্টার পটার। এখানেই সে তার গডফাদার সিরিয়স ব্ল্যাককে হারায়।  

এছাড়াও দ্বিতীয় জাদুবিদ্যার যুদ্ধে অংশগ্রহণ ও ভোল্ডেমোর্টের হরক্রাক্স (কালো জাদুর উপকরণ, যা দিয়ে অমরত্ব লাভ করা যায়) ধ্বংস করে সে। ব্যাটল অব হোগওয়ার্টে সে ছিলো শিক্ষক সেভেরাস স্নেইপ ও বন্ধু ফ্রেড উইজলির মৃত্যুর সাক্ষী। সপ্তম ম্যাজিক্যাল ও শেষ বর্ষে হ্যারি পটার সবগুলো হরক্রাক্স ধ্বংসের মাধ্যমে চূড়ান্তভাবে লর্ড ভোল্ডেমোর্টকে বিনাশ করতে সক্ষম হয়। তারপর শুরু হয় তার সুখের জীবন। বন্ধু রন উইজলির বোন জিনি উইজলিকে বিয়ে করে হ্যারি পটার। মাত্র ২৭ বছর বয়সে হোগওয়ার্টস স্কুল অব উইচক্রাফট এন্ড উইজাড্রিতে ডিফেন্স এগেইনস্ট দ্য ডার্ক আর্টের প্রভাষক হিসেবে ক্লাস নিতে শুরু করে।  

বাংলাদেশ সময়: ০৬৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১৬
এসএমএন/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।