ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

ইচ্ছেঘুড়ি

রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৯)

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৬
রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৯)

কাহিনী সংক্ষেপ: ১৯৩০ এর দশকের ঘটনা। যমজ মাইক, নোরা ও তাদের বছর খানেকের বড় বোন পেগি- তিন ভাইবোন খুবই অসুখী।

তাদের বাবা ও মা মিসেস আরনল্ড চমৎকার একটি প্লেন বানাবার পর সেটিতে করে অস্ট্রেলিয়ার দিকে উড়ে যায়। তারা আর ফিরে আসে না। তাদের সম্পর্কে এর বেশি কিছু জানাও সম্ভব হয় না। এরপর থেকে টানা দু’বছর বাচ্চারা তাদের খালা হ্যারিয়েট ও খালু হেনরির সঙ্গে থাকছেন। এই দু’জন খুবই বদরাগী আর ভয়ানক।
একদিন খালা হ্যারিয়েট ঠিকঠাক পর্দা ধুতে না পারায় নোরাকে ছয়টি চড় মারে, রান্না করতে গিয়ে কেক পুড়িয়ে ফেলায় পেগিকে মেরে বিছানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। মাইক সারাদিন তার খালুর সঙ্গে মাঠে কাজ করে। বাচ্চাদের কেউই এখন আর স্কুলে যায় না। তাদের সইবাকে ঘরগৃহস্থালির টুকিটাকি ফুট-ফরমায়েশ খেটে জীবন পার করতে হচ্ছে।
তাদের বন্ধু জ্যাক থাকে তার দাদার সঙ্গে, পাশের খামারে। বুড়ো সেই পরিত্যাক্ত খামার ফেলে তার মেয়ে জ্যাকের খালার কাছে চলে যাওয়ার কথা ভাবছে। তার মানে এরপর থেকে জ্যাককে সেখানে একাই থাকতে হবে। অসহায় বাচ্চাদের কাছে পেয়ে তাদের নিয়ে সে দল ভারি করে। প্রকাণ্ড লেকের মধ্যে রহস্যময় এক দ্বীপের খোঁজ তার জানা। ঘন বনে ঘেরা সেই দ্বীপের কথা কারোরই জানা নেই। এর আগে কেউই সেখানে যায়নি। পরের ঘটনা বিস্তারিত পড়তে প্রতি শুক্র ও মঙ্গলবার চোখ রাখুন ইচ্ছেঘুড়ির পাতায়।

[পূর্ব প্রকাশের পর]

“পরিকল্পনার দিক দিয়ে আমাদের খুব সতর্ক হতে হবে,” জ্যাক বলে। “একটা জিনিসও আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, কারণ কোনো কিছু নেওয়ার জন্য আমরা আর ফিরে আসতে পারবো না, তা তো জানোই, বা ফিরে আসলে ধরা পড়ার ভয় আছে। ”

“থাকতে যাওয়ার আগে কি আমরা গিয়ে দ্বীপটা ভালো করে দেখে আসতে পারি না? নোরা জানতে চায়। “আমার ওটা কাছ থেকে দেখতে খুবই ইচ্ছে করছে। ”

“হ্যাঁ,” জ্যাক বলে। আমরা আগামী রোববারে যাবো। ”

“আমরা কীভাবে যাবো?” মাইক জিজ্ঞেস করে। “সাঁতরে?”

“না,” জ্যাক বলে। “আমার একটা পুরাতন নৌকা আছে। ফেলে দেওয়া নৌকার মাঝে আমি সেটি খুঁজে পাই এবং ঠিকঠাক করে নেই। ওর ভেতর এখনও পানি ঢুকে, তবে আমরা ওতে চড়তে পারবো। আমি সেটাতে করে তোমাদের সবাইকে নিয়ে যাবো। ”

রোববার আসার অপেক্ষায় বাচ্চাদের আর তর সইছিল না। রোববারের মধ্যে তাদের নির্দিষ্ট কিছু কাজ সারতে হয়, তবে আগের মতোই তাদের খাবার খেতে দেওয়া হয় এবং এরপর একটা বনভোজনেও অংশ নিতে দেওয়া হয়।

জুন মাস। দিনগুলো খুব বড় আর রোদ্দুরময়। খামারের বাগান মটরশুঁটি, বড় শিম, বৈঁচি-লতা আর পাঁকা চেরিতে ছাওয়া। বাচ্চারা নিজেদের জন্য ইচ্ছে মতো সেখান থেকে সরিয়ে রাখে এবং যতটা পারা যায় মটরশুঁটি সংগ্রহ করে এবং দুটা লেটুস তুলে। খালা তাদের অল্প পরিমাণে যা যা খেতে দেয় নিয়মিত সেখান থেকেও সামান্য তুলে রাখে।

মাইকের মতে এটা মোটেই চুরি নয়, কারণ কঠোর পরিশ্রমের পর খালা তাদের যতটুকু খেতে দেন, পারিশ্রমিক হিসেবে ওরা এর দ্বিগুণ পেতে পারতো। ওরা কেবল যা আয় করেছে তাই নিচ্ছে। ওদের কাছে একটা রুটি, কিছু মাখন এবং কয়েক টুকরো মাংস, সেই সঙ্গে মটরশুঁটি এবং লেটুস আছে। মাইক কয়েকটা গাজরও তুলে। সে বলে মাংসের সঙ্গে ওগুলো খেতে সবচেয়ে মজা। ওরা জ্যাকের সঙ্গে দেখা করবার জন্য ব্যগ্র হয়ে পড়ে। সে পিঠে একটা ব্যগ নিয়ে লেকের পাশে আসে। থলের ভেতর করে সে খাবার এনেছে। সে ওদের কয়েকটা লাল চেরি এবং গোল কেক বের করে দেখায়। “কালকে মিসেস লেন তার বাগানে নিরানি দেবার বদলে আমাকে এগুলো দিয়েছে,” জ্যাক বলে। “আমরা খুব মজা করে খাবার খেতে পারবো। ”

**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৮)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৭)

**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৬)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৫)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৪)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৩)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-২)
** রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১)

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৬
আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।