ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১২)

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৬
রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১২)

কাহিনী সংক্ষেপ: ১৯৩০ এর দশকের ঘটনা। যমজ মাইক, নোরা ও তাদের বছর খানেকের বড় বোন পেগি- তিন ভাইবোন খুবই অসুখী।

তাদের বাবা ও মা মিসেস আরনল্ড চমৎকার একটি প্লেন বানাবার পর সেটিতে করে অস্ট্রেলিয়ার দিকে উড়ে যায়। তারা আর ফিরে আসে না। তাদের সম্পর্কে এর বেশি কিছু জানাও সম্ভব হয় না। এরপর থেকে টানা দু’বছর বাচ্চারা তাদের খালা হ্যারিয়েট ও খালু হেনরির সঙ্গে থাকছেন। এই দু’জন খুবই বদরাগী আর ভয়ানক।
একদিন খালা হ্যারিয়েট ঠিকঠাক পর্দা ধুতে না পারায় নোরাকে ছয়টি চড় মারে, রান্না করতে গিয়ে কেক পুড়িয়ে ফেলায় পেগিকে মেরে বিছানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। মাইক সারাদিন তার খালুর সঙ্গে মাঠে কাজ করে। বাচ্চাদের কেউই এখন আর স্কুলে যায় না। তাদের সইবাকে ঘরগৃহস্থালির টুকিটাকি ফুট-ফরমায়েশ খেটে জীবন পার করতে হচ্ছে।
তাদের বন্ধু জ্যাক থাকে তার দাদার সঙ্গে, পাশের খামারে। বুড়ো সেই পরিত্যাক্ত খামার ফেলে তার মেয়ে জ্যাকের খালার কাছে চলে যাওয়ার কথা ভাবছে। তার মানে এরপর থেকে জ্যাককে সেখানে একাই থাকতে হবে। অসহায় বাচ্চাদের কাছে পেয়ে তাদের নিয়ে সে দল ভারি করে। প্রকাণ্ড লেকের মধ্যে রহস্যময় এক দ্বীপের খোঁজ তার জানা। ঘন বনে ঘেরা সেই দ্বীপের কথা কারোরই জানা নেই। এর আগে কেউই সেখানে যায়নি। পরের ঘটনা বিস্তারিত পড়তে চোখ রাখুন ইচ্ছেঘুড়ির পাতায়।

[পূর্ব প্রকাশের পর]

পাহাড়ের ওপাশে কতগুলো গুহা আছে, জ্যাক বলে। আমি ওগুলোর ভেতরে যাইনি। কেউ কখনও আমাদের খুঁজতে এলে লুকিয়ে থাকতে খুব কাজে আসবে।
ওরা পাহাড়ের অন্যপাশ দিয়ে নামে। সেখানে হলদে কাঁটাগুল্ম, গোলাপি ফুলওয়ালা গুল্ম, আর ফার্নের ছড়াছড়ি। জ্যাক পাহাড় ঘেঁষে বড় একটা গুহা দেখায়। রোদের আলোতে ওর ভেতরটা অন্ধকার আর আবছা।
এখন আমাদের ওখানে যাওয়ার সময় নেই, জ্যাক বলে। তবে কোনো কিছু মজুত করে রাখার জন্য গুহা হলো চমৎকার জায়গা, তাই না? ওখানে সবকিছু শুকনো আর ভালো থাকবে।
পাহাড় বেয়ে কিছুদূর নেমে আসার পর সাবই বুদ্বুদের বুজবুজ শব্দ শুনতে পায়।
ওটা কীসের শব্দ? পেগি থেমে জিজ্ঞেস করে।
দেখো! ছোট্ট একটা ঝরনা! মাইক চেঁচিয়ে ওঠে। ওহ, জ্যাক! ওখান থেকে আমরা জল পাবো! খুব শীতল বলে মনে হচ্ছে, আর দেখতে একেবারে স্ফটিকের মতো স্বচ্ছ!
ওর স্বাদও খুব চমৎকার, জ্যাক বলে। শেষবার এখানে আসার পর একবার পান করেছিলাম। নিচে, আরও একটা ঝরনা এসে ওর সঙ্গে মিশেছে, আর ওখানে ক্ষুদে একটা নদীও আছে।
পাহাড়ের পাদদেশ জুড়ে ঘনবন। খালি জায়গার এখানে সেখানে বড় বড় কাঁটা ঝোপ জন্মেছে। জ্যাক আঙুল দিয়ে ওখানটা দেখায়।
গ্রীষ্মে ওখানে হাজার হাজার কালো জাম পাওয়া যায়, সে বলে। আর ঝোপ-বাদাম, তখন দেখবে! এবং এখানে আরও একটা জায়গা আমার চেনা, তেতে থাকা সেই ঢালে, কম করে হলেও বিশটিরও বেশি রাজবেরি দেখতে পাবে!
আরে, এখনি দেখাও জায়গাটা, মাইক অনুনয়ের স্বরে বলে। কিন্তু জ্যাক জানায় হাতে মোটেই সময় নেই। তাছাড়া, রাজবেরিগুলো তখনও পাকেনি।

চলবে...

আরও পড়ুন:

**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১১)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১০)
***রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৯)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৮)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৭)

**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৬)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৫)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৪)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৩)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-২)
** রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১)
 

 

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৬
এএ

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।