স্কুলে পৌঁছাতে পৌঁছাতে প্রায় রাত একটা বেজে গেলো। তরফদারকে তার রুম বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। দুটি হ্যারিকেন নিয়ে এসেছে ইব্রাহীম। একটা...
প্রথম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন
দ্বিতীয় পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন
স্কুলে পৌঁছাতে পৌঁছাতে প্রায় রাত একটা বেজে গেলো।
তরফদারকে তার রুম বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
দুটি হ্যারিকেন নিয়ে এসেছে ইব্রাহীম। একটা তরফদারের জন্য রেখে যাবে। রুমটা একটু অগোছালো। তাই তারা দুজনে মিলে গুছাচ্ছে। সেই পুরোন কথাটা আবার মনে পড়ে গেলো, ভয়ংকর স্মৃতিটা। সে কি ফেরত যাবে বাড়িতে। নাকি আজকে তরফদারের সঙ্গে থেকে যাবে। তরফদার আবার কি মনে করে কে জানে, কাপুরুষ ভেবে বসে নাকি তাকে আবার । এমন সময় একটা শব্দ শুনতে পেলো। লক্ষ্য করলো তরফদার ও শব্দটা শুনতে পেয়েছে। সে কান খাড়া করে শুনছে। শব্দটার উৎস কাছে কিনারেই হবে। মনে হচ্ছে স্কুলের ল্যাবরেটরির দিক থেকে শব্দটা আসছে। কেউ যেন পা টেনে টেনে হাঁটছে এমন শব্দ। সঙ্গে থপ থপ একটা শব্দ। চার পেয়ে কোন কিছু হেঁটে বেড়ালে এমন শব্দ হয়। শব্দকে অনুসরণ করে তারা ল্যাবরেটরির সামনে গিয়ে দাঁড়ালো।
শব্দটা থেমে গেলো, এখন শুনা যাচ্ছে না। তাদের উপস্থিতি টের পেয়েছে বোধ হয়। চোর ঢুকলো নাকি আবার। ইব্রাহীম দরজার দিকে এগিয়ে যায়। তালা মারা দরজায়। তাহলে চোর ঢুকলো কীভাবে!
দরজায় একটা ফাঁকা আছে। চোখ রাখলো সে ফাঁকা দিয়ে। ল্যাবরে টরির ভেতরের সব কিছু দেখা যাচ্ছে। হালকা একটা আলো ছড়িয়ে আছে পুরো ল্যাবরেটরিতে। কিছু একটা দেখে তার রক্ত হিম হওয়ার জোগার হয়েছে। একটা কঙ্কাল হেঁটে বেড়াচ্ছে। এটা ল্যাবের কঙ্কাল। সাইন্সের স্টুডেন্টদের এনাটমি পড়ানো হয় এটা দিয়ে। এক বছর আগে আনা হয়েছিল । কঙ্কাল কেমন যেন অসংলগ্নভাবে হেঁটে বেড়াচ্ছে। মাতালরা যেভাবে হাঁটে। আরও একটা ভয়ংকর ব্যাপার তার চোখে পড়লো। কঙ্কালটা পিছু পিছু একটা কুকুর হেঁটে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৬
আইএ
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।