ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

ইচ্ছেঘুড়ি

রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১৪)

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৬
রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১৪)

কাহিনী সংক্ষেপ: ১৯৩০ এর দশকের ঘটনা। যমজ মাইক, নোরা ও তাদের বছর খানেকের বড় বোন পেগি- তিন ভাইবোন খুবই অসুখী।

তাদের বাবা ও মা মিসেস আরনল্ড চমৎকার একটি প্লেন বানাবার পর সেটিতে করে অস্ট্রেলিয়ার দিকে উড়ে যায়। তারা আর ফিরে আসে না। তাদের সম্পর্কে এর বেশি কিছু জানাও সম্ভব হয় না। এরপর থেকে টানা দু’বছর বাচ্চারা তাদের খালা হ্যারিয়েট ও খালু হেনরির সঙ্গে থাকছেন। এই দু’জন খুবই বদরাগী আর ভয়ানক।

একদিন খালা হ্যারিয়েট ঠিকঠাক পর্দা ধুতে না পারায় নোরাকে ছয়টি চড় মারে, রান্না করতে গিয়ে কেক পুড়িয়ে ফেলায় পেগিকে মেরে বিছানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। মাইক সারাদিন তার খালুর সঙ্গে মাঠে কাজ করে। বাচ্চাদের কেউই এখন আর স্কুলে যায় না। তাদের সইবাকে ঘরগৃহস্থালির টুকিটাকি ফুট-ফরমায়েশ খেটে জীবন পার করতে হচ্ছে।

তাদের বন্ধু জ্যাক থাকে তার দাদার সঙ্গে, পাশের খামারে। বুড়ো সেই পরিত্যাক্ত খামার ফেলে তার মেয়ে জ্যাকের খালার কাছে চলে যাওয়ার কথা ভাবছে। তার মানে এরপর থেকে জ্যাককে সেখানে একাই থাকতে হবে। অসহায় বাচ্চাদের কাছে পেয়ে তাদের নিয়ে সে দল ভারি করে। প্রকাণ্ড লেকের মধ্যে রহস্যময় এক দ্বীপের খোঁজ তার জানা। ঘন বনে ঘেরা সেই দ্বীপের কথা কারোরই জানা নেই। এর আগে কেউই সেখানে যায়নি। পরের ঘটনা বিস্তারিত পড়তে চোখ রাখুন ইচ্ছেঘুড়ির পাতায়।

[পূর্বপ্রকাশের পর]

নিজেদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলাপ করার সময় ওরা আনন্দে খুবই আত্মহারা হয়ে পড়ে। শেষে যা যা সঙ্গে আনার সব গুছিয়ে, একে একে লেকের পাশে গাছের কোটরে জিনিসগুলো লুকিয়ে রাখে এবং তারপর, নৌকায় তুলে রহস্য দ্বীপে এসে, সেখানে বাড়ি বানাবার জন্য প্রস্তুতি নেয়।
“একটা ফ্রাই পেনও খুব কাজে আসবে,” নোরা বলে।

“এবং একটা কি দুটা সসপেনও,” পেগি বলে,” এবং একটা কেতলি। আরে! কি মজাই না হবে। এখন আর আমাদের চড় থাপ্পর খেতে খুব একটা খারাপ লাগবে নাÑসারাটা দিন আমি এসব নিয়ে ভেবেছি। ”

“এখানে আসার জন্য একটা দিন ঠিক করে ফেললে ভালো হয়,” জ্যাক বলে। “এক সপ্তাহ পর হলে কেমন হয়? রোববার পালাবার জন্য ভালো একটা দিন, কারণ সেদিন রাত নামার আগপর্যন্ত কেউ আমাদের খোঁজ নিবে না, তবে তখন আর আমরা বাড়ি ফিরছি না!”

“হ্যাঁ! আজ থেকে এক সপ্তাহ পর!” সবাই একসঙ্গে চেঁচিয়ে ওঠে। “ওহ! কী মজাই না হবে!”
“এখন আমাদের বাড়ি ফিরে যাওয়া উচিত,” নৌকায় বসে, জ্যাক বলে। “ইচ্ছে হলে এবার তুমি বৈঠা বাইতে পারো, মাইক, আর আমি পানি সেচবো, উঠে এসো, মেয়েরা। ”

“এ্যাই এ্যাই, ক্যাপটেন!” জ্যাকের মতো ওদের একজন ক্যাপটেন আছে, কথাটা ভেবে ওরা সবাই আনন্দে গেয়ে ওঠে! ওরা যখন লেকের জলে ভেসে বেড়াচ্ছে তখন বিকেল। পরের রোববার ওরা কী করবে?

চলবে...

**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১৩)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১২)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১১)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১০)
***রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৯)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৮)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৭)

**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৬)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৫)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৪)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৩)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-২)
** রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১)

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৬
আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।