ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১৮)

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৫, ২০১৬
রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১৮)

সুযোগ পেলেই তোমরা লেকের কাছে চলে যাবে, সে বলে। ওখানে আমার জন্য অপেক্ষা করবে। আমার খুব বেশি সময় লাগবে না! পেগি আর নোরা স্বস্তি ফিরে পায়। এবার তাহলে ওদের পালাতে হবে! ওরা আরও কিছু জিনিস ধোয় এবং দেখে খালা ওপরে গেছে।

[পূর্ব প্রকাশের পর]

সুযোগ পেলেই তোমরা লেকের কাছে চলে যাবে, সে বলে। ওখানে আমার জন্য অপেক্ষা করবে।

আমার খুব বেশি সময় লাগবে না!

পেগি আর নোরা স্বস্তি ফিরে পায়। এবার তাহলে ওদের পালাতে হবে! ওরা আরও কিছু জিনিস ধোয় এবং দেখে খালা ওপরে গেছে।

খালুর রোববারের সুট আর সার্ট দেখতে গেছে, নোরা ফিসফিস করে বলে। তাড়াতাড়ি! এটাই সুযোগ। আমরা পেছনের দরজা গলে বেরিয়ে যেতে পারি।

পেগি আলমারির নিচে কাবার্ডের দিকে ছুটে এবং বড় একটা সাবানের টুকরা নেয়। আমরা তো সাবানের কথা ভুলেই গিয়েছিলাম! সে বলে। আমাদের আরও কিছু দরকার! সময় মতো মনে পড়বে!

নোরাও কিছু একটা নেবার জন্য চারদিকে তাকায়। সে আলমারির ভেতর বিশাল একটা মার্জারিনের খণ্ড দেখতে পায়, এবং সেটা লুফে নেয়।

এটা ভাজা পোড়ায় কাজে আসবে! সে বলে। চলে এসো, পেগি- আমাদের হাতে একদম সময় নেই।

ওরা পেছনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে, রাস্তার দিকে ছুটে, তারপর মাঠের ওপর দিয়ে এগিয়ে যায়। পাঁচ মিনিটের মাথায় ওরা সোজা ফাঁপাগাছটার কাছে এসে পৌঁছায়। জ্যাক তখনও আসেনি। মাইক কখন আসবে সেটাও ওদের জানা নেই। ওর পক্ষে পালিয়ে আসা খুব একটা সহজ হবে না!

তবে মাইক আগে থেকেই সবকিছু ঠিক করে রেখেছে। মেয়েগুলো ভেগেছে খালা সেটা টের পাবার পর সে মুহূর্ত খানেক অপেক্ষা করে, এবং তারপর রান্না ঘরের দিকে এগিয়ে যায়।

কী হয়েছে খালা? তার রাগী চেহারা আর চেঁচামেচি শুনে খুব অবাক হবার ভান করে, জিজ্ঞেস করে।

মেয়ে দু’টো কোথায় গেলো? খালা চেঁচিয়ে ওঠে।
আমার মনে হয় কাপড় বা অন্য কিছু আনতে গেছে, মাইক বলে। আমি কি গিয়ে খুঁজে দেখব?

হ্যাঁ, আর ওদের জানাবে কাজ শেষ না করেই এভাবে চলে যাবার কারণে ওদের খুব করে চাবকানো হবে, রাগে দুঃখে তার খালা বলে।

মাইক দৌড়ে এসে, তার খালুকে জানায় খালার জন্য তাকে একটু বাইরে যেতে হচ্ছে। তাই হেনরি খালু কিছুই বলে না, বরং তাকে যেতে দেয়। মাইক মাঠের ওপর দিয়ে দৌড়ে লেকের পাড়ে আসে এবং সেখানে মেয়ে দুটোর সঙ্গে দেখা হয়। ওরা আনন্দে একে ওপরকে জড়িয়ে ধরে।

এখন, জ্যাক কোথায়! নোরা বলে। ও বলেছে যত দ্রুত সম্ভব আমাদের সঙ্গে এসে মিলবে।

ওই তো ওখানে! নোরা বলে; এবং তখনই জ্যাক মাঠের ওপর দিয়ে আসার সময় ওদের দেখে হাত নাড়ে। একটা ভারী ব্যাগ বয়ে আনছে, ওর ভেতর সে শেষ মুহূর্তে সব জিনিসপত্র বোঝাই করে এনেছে- দড়ি, একটা পুরাতন রেইন কোট, দুটো বই, কিছু খবরের কাগজ, এবং অন্যান্য জিনিস। উত্তেজনায় ওর মুখটা চকচক করছে।

দারুণ! তোমরা তাহলে এসে গেছ! সে বলে।
হ্যাঁ, কিন্তু আরেকটু হলেই ধরা পড়ে যেতাম, নোরা বলে, এবং কী ঘটেছে সে তা জ্যাককে খুলে বলে।

বলতে চাইছি! আমি আশা করছি এর মানে এই নয় যে তোমার খালা-খালু খুব শিগগিরই তোমাদের খুঁজতে শুরু করে দেবেন, জ্যাক বলে।

আরে না! মাইক বলে। তার মানে হলো গিয়ে ওরা ঠিক করেছিল বিকেলে বাড়ি ফিরলে আমাদের চাবকাবে! ওরা ভেবেছে অন্য রোববারের মতোই আমরা পিকনিকে বেরিয়েছি।

চলবে....

আরও পড়ুন:
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১৭)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১৬)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১৫)
**
রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১৪)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১৩)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১২)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১১)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১০)
***রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৯)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৮)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৭)

**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৬)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৫)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৪)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৩)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-২)
** রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১)

বাংলাদেশ সময়: ১৩১১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৬
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।