ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

ইচ্ছেঘুড়ি

বায়োস্কোপ | অরণ্য প্রভা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭১৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০১৭
বায়োস্কোপ | অরণ্য প্রভা

১.
রাতে ঘুমোতে গিয়ে হরিপদ যখন বাবাকে দেখতে পায় না তখন মাকে জিজ্ঞেস করে-ওমা, মদ্যি মদ্যি বাপ বাড়িত আসিচ্চে না, কুন্টি যাত্তি?

সামরিক শাসন পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের ঘুম হারাম করে দিয়ে দিয়েছে। হরিপদর বাবা একজন বামপন্থি রাজনৈতিক দলের একনিষ্ঠ কর্মী।

এই মুহূর্তে আইয়ুবের শাসনের ব্যাখ্যা কী করে বোঝাবেন হরিপদকে তাই মা বলে বসেন-ইকল্যা আইজনীতি-ফাজনীতি তুই বুচবু না বা, তুর এখুনও সে বয়স হয়ইনি। হরিপদ মায়ের মুখোমুখি থেকে অন্যপাশ হয়ে বলে-আইচ্যা ঠিক আচে, বয়সের কিনি হামি থামি থাকনু।

    সে রকমই অপেক্ষার এক প্রহরে শহরে ঘটে যাওয়া ঘটনাটা চাউর হতে হতে যখন বাগমারায় এসেছে পৌঁছে, তখন দুশ্চিতার অন্ত থাকে না। ঢাকার সাথে পাল্লা দিয়ে ফুঁসে উঠতে থাকে রাজশাহী শহরও। হরিপদর মা বলতে থাকেন-তাই বুইল্যে চৌদ্দ বছরের জেল!

    বাবা বাদ সেধে হরিপদর মাকে বলেন-তুমি দেখে নিও, এই সাজা প্রত্যাহার করতে হবে। পৃথিবীর ইতিহাসে ছাত্রআন্দোলনে এত দীর্ঘ সাজা কারো হয়েছে কি? সামরিক আদালত কেন, পৃথিবীর কোনো আদালতই এমন সাজা দিয়ে কার্যকর করতে পারবে না। কাজী শহীদের ক্ষেত্রেও এর ব্যত্যয় ঘটবে না। এমন ঘটনা শোনার পর থেকেই মা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দু-চারদিন হরিপদকে আর স্কুলে পাঠাবেন না।

    হরিপদ... হরিপদ... বলে ডাকতেই সে উধাও। হরিপদ বই নিয়ে ছোটে। মণ্ডলপাড়ার উঠোনে এসে বায়োস্কোপের ঝনঝনানির শব্দ আর তাঁর কণ্ঠে পুঁথি পাঠের মতো করে আবৃত্তি হরিপদকে অনুসরণ করতে প্রলুব্ধ করে। কিন্তু উঠোনে হাজির হলে কি হবে, হরিপদর কাছে তো কোনো পয়সা নাই, যার বিনিময়ে সে বায়োস্কোপ দেখতে পারবে। ইতোমধ্যেই বায়োস্কোপঅলা জব্বার মিয়াকে কেন্দ্র করে বাউণ্ডুলে আর ডানপিটেদের ভিড় বাড়তে থাকে।

    হরিপদ ভাবে-যুদি বাড়িত যায়্যা চাইল অ্যানবার পর দেকি জব্বার মিয়া চলি গেচে তাইলি আম-ছালা দুইই য্যাবে। একদিক স্কুলত গাভী, তাও আবার মাক না বুল্যা চাইল আনা।

    হরিপদর মন খারাপ। তারপরও সে এসব ভাবতে ভাবতে জব্বার মিয়ার কাছে যায়। তার বাম হাতের ঝনঝনিটার কাছ ঘেঁষে দাঁড়ায়। মুখটা মলিন। হরিপদকে দেখে তার চোখের জিজ্ঞাসু দৃষ্টি জব্বার মিয়াকে আবেগী করে তোলে।
এক শো শেষ হলে ছেলেরা আনন্দের বিভা নিয়ে ভিড় ঠেলে পাশে দাঁড়ায়। যে দৃশ্য হরিপদকে আরো ব্যথাতুর করে তোলে।

    আরেক শো শেষ হলে হরিপদর মায়াবী চাহনী জব্বার মিয়ার দৃষ্টি কাড়ে। ওর মলিন মুখ দেখে প্রশ্ন করেন-কই পাসা আচে, দেকি বাইর কর?
    হরিপদ পকেটের খুতি বের করে দেখায় ফাঁকা।
    বায়োস্কোপ দেকপু?
    হরিপদ মাথা দোলায়।
    যা বাড়িত যায়্যা পাসা লি-আনেক।
    পাসা নাই।
    তাইলে চাইল না হলি ধান লিআন।
    জব্বার দাদা তুমি তৎকুন থাকপেন এটি? ঐ-ও গাঁওটা দ্যাকোচেন না, তার পরের উ-ও গাঁওত হামার বাড়ি।
    যা দড়া-দড়া, হামি থ্যাকবহিনি।
    
    জব্বার মিয়ার কথা শেষ না হতেই হরিপদ ভোঁ দৌড়। দৌড়াতে দৌড়াতেই বুদ্ধি আঁটে মায়ের অজান্তেই হাড়ি থেকে চাল নিতে হবে। ধরা খেলে চলবে না। হাঁফাতে হাঁফাতে ঘরের পেছনে এসে দাঁড়ায়। মাকে অনুসরণ করে। মা ঘরের ভেতর থেকে বেরিয়ে হাসের বাচ্চাগুলোকে উঠোনের ধারে নিয়ে গেলে হরিপদ কাজ সেরে নেয়।

কিন্তু এত কষ্টের পর হরিপদ এসে দেখে মণ্ডল বাড়ির উঠোনে যেখানে বায়োস্কোপ চলছিল সেখানে কেউ নাই। না জব্বার মিয়া, না ডানপিটেদের দল।

    হদিপদর ঠোঁট থির থির করে কাঁপতে থাকে। চোখ পানি ঝরার অপেক্ষায় টলটল করছে। অবশেষে একজনরে জিজ্ঞাস করে-আইচ্যা, তুমি কি বায়োস্কোপয়ালাক দেকচেন?
    লোকটি হাত উঁচিয়ে অন্যগ্রামের পথ দেখিয়ে দেয়।

হরিপদ ছুটতে থাকে। তার বাম বগলের নিচে কয়েকটা বই আর প্যান্টের ড্যানপকেটের ভেতর দু’মুঠো চাল। হরিপদ ছুটছে ঠিক যেন অপুর মতো, বায়োস্কোপঅলা জব্বার মিয়ার উদ্দেশে। হঠাৎই থেমে পড়ে। কান খাড়া করে কী যেন শুনতে চেষ্টা করে। শুনতে পায় জব্বার মিয়ার ঝনঝনির শব্দ আর সুরেলা কণ্ঠের বায়োস্কোপের গান। হাঁপাতে হাঁপাতে জব্বার মিয়ার কাছে এসে হুমড়ি খেয়ে পড়ে। রাগান্বিত স্বরে বলে-কি ব্যাপার জব্বার দাদাদ তুমি হামাক বাড়িত থিনি চ্যাইল অ্যানবার বুল্যা চল্যা গেচেন ক্যান?
    চার-পাঁচ গাঁও গুরিত্তে হ। এ্যাক জাগাত বেশিখুন থাকলি চলে না। আর তুক হামি মুনে পারস্যা গেছিনু। পাশেত একডা ইস্কুল আছলো, ইস্কুলের ছার আসি হামাক ধমক দিচলো, তাই দেরি না করি চলি আসনু।

২.
    পড়াশোনা মোটেও ভালো লাগে না হরিপদর। যে কারণে প্রায় প্রতিদিনই মা-বাবার কাছ থেকে কটু কথা শুনতে হয়। বাড়ি থেকে স্কুলের দূরত্বটা প্রায় মাইল দেড়েক হবে। অতদূর হেঁটে যেতে ভালো লাগে না তার। উঠান পেরিয়ে কিছুদূর গেলেই গড়, সেই গড়ের পাশেই একটা ছোট্ট পুরোনো সেতু। সেই সেতু পেরিয়ে আর কিছুদূর হাঁটলেই পাকা রাস্তা, রাস্তার অদূরেই বিরকুতসা স্কুল। এই স্কুলেরই দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র হরিপদ।

    স্কুলে এসে হাঁপিয়ে উঠেছে হরিপদ। কোনো কোনো দিন রিকশার পেছনে টুপ করে ঝুলে থেকে চুপি চুপি কিছুটা পথ এগিয়ে যায়। আজ স্কুলে যাবার পথে রাস্তায় কোনো রিক্সাই জোটেনি কপালে। জুটবেই বা কেমনে, সামরিক শাসক ক্ষমতায় বসেছে। চারদিকে ভয়ে সবাই অস্থির, রাস্তায় বেরোবে কে? রাস্তায় গরুর গাড়ি আর মহিষের গাড়ি চলতে চলতে দু-চাকার মাঝখানে মাটির ঢিবি হয়ে গেছে।

    স্কুলের জানালা দিয়ে অদূরে কোনো কিশোরকে ঘুড়ি ওড়াতে দেখে মনটা ব্যাকুল হয়ে ওঠে। শ্রেণিশিক্ষক হরিপদ হরিপদ বলে ডাকতেই সম্বিৎ ফিরে পায়। শ্রেণীকক্ষের একেবারে শেষ বেঞ্চের বামপাশের জানলা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে উল্টো স্যারকেই প্রশ্ন করে হরিপদ।
কুন ছড়া ছার?
হরিপদর প্রশ্নে স্যার এগিয়ে আসেন। এবার সে কাঁপতে থাকে। স্যার বেত হাতে তার আরো কাছে এলে কাঁপার সাথে সাথে এবার ঘামতে থাকে।
কুন ছড়া বুলতে পারিন ন্যা?
না ছার।
ক্যাইল স্কুলত আসিসনি?
না ছার।
    
না বলার সাথে সাথেই বেতের আঘাতে হরিপদর চোখমুখ লাল হয়ে ওঠে।
ছুটি ছড়াটি বের করে হাতে ধরিয়ে দিয়ে কান ধরে বেঞ্চের উপর দাঁড় করাতেই হরিপদ বলেওঠে-ও ইটা তো ছার হামার আগেতথিনি মুকস্ত কর‌্যা রাকিচি।
এতকুন কুন্টি গেচলু? কি ভাবচুলু বুল? আর বাইরেত তাকাইয়্যা কি দেকচুলু?
স্যারের কথা উত্তর না দিয়ে থির থির করে কাঁপতে থাকে হরিপদ আর চোখের কোণ দিয়ে টুপ টুপ করে চোখের জলে ভিজতে থাকে বইয়ের পাতা।

৩.
আকাশে পূর্ণিমার চাঁদ আর মেঘের খেলা তো জৈষ্ঠ্যের নিত্যসঙ্গী। মেঘ সরে গিয়ে চাঁদটা যখন পূর্ণ আলো বিকিরণ করে তখন গাছের পাকা আমগুলো ছবির মতো ফুটে ওঠে। কিছুক্ষণ পর মেঘে ঢেলে গেলে অন্ধকার নামে। আর অন্ধকার মানেই শ্যাওড়া গাছের ভূত! কী শিহর আর গা ছমছম করা অনুভূতি হরিপদকে শঙ্কিত করে তোলে।

    হাজার মাইল দূরে যুদ্ধ শুরু হলেও তার প্রভাব বেশ প্রকটভাবেই পড়ে এই পূর্ব পাকিস্তানে। যুদ্ধ শুরু হয়েছে মাত্র দশদিন হলো। এই দশদিনের মাথায় এসে যে কথাটা বললেন বাবা, তা কিছুতেই মেনে নিতে পারে না হরিপদ। পাকিস্তান দেশরক্ষা আইনে হিন্দুদের গ্রেফতার চলছে। আসলে সাম্প্রদায়িকতা সম্বন্ধে অত বুঝতেও চায় না। সে শুধু জানে এ দেশ তাদেরও, এ-দেশে বসবাসের অধিকার তাদেরও আছে।

    বার বার বাবা বোঝাতে চান-হিন্দুস্তান হলো হিন্দুদের, আর পাকিস্তান, মানে পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তান হলো মুসলমানদের। হরিপদ তবুও বুঝতে চায় না। সে কারণেই বাবাকে প্রশ্ন করে-
বাপ, যুদ্দু কী?
যুদ্ধ হলো, স্থান দখলের জন্য উচ্ছেদের চেষ্টা। সে চেষ্টায় ব্যর্থ হলে অস্ত্রের ব্যবহারে মানুষ হত্যা, আধিপত্য বিস্তার। তারপর নিজেদের ইতিহাস, ধর্ম, সংস্কৃতিতে গড়ে ওঠা ভূখণ্ড।
না বাপ, হামি যাবার পারমু না, তুমরা যাচেন যাও। হামি যামু না।
সে কি হামরা চলি গেলি তুই থাকবু কুন্টি?
ক্যান, হামি বায়োস্কোপওয়ালার কাচে চল্যা যামু, তার কাচে থাকমু।
আরে সেই বায়োস্কোপঅলা জব্বার মিয়ারে এখন কোথায় পাব।
আইচ্যা ঠিক আচে তুমরা যেটে যাবেন, মানে হেন্দুস্তানে কি বায়োস্কোপ আচে?
হরিপদর এ উত্তরটা তার বাবারও জানা নেই। জানা না থাকলে কি হবে হরিপদকে রাজি করানোর জন্যই বলতে হবে আছে।

    দুদিন আগে পাশের বাড়ির দেব মুখার্জিকে ধরে নিয়ে গেছে। কে জানে কবে ছাড়বে। আর যুদ্ধই বা কতদিন চলবে সেটা কেউ জানে না। সে কারণেই হরিপদর বাবার চিন্তার রেখা দীর্ঘ হতে থাকে। পাড়ায় পাড়ায় তল্লাশির কারণে অনেকই নামমাত্র দামে ভিটেমাটি বিক্রি করে ওপারে মানে হিন্দুস্থানে চলে যাচ্ছে। হরিপদর বাবাও এই মুহূর্তে সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। কিন্তু বাদ সেধেছে হরিপদ নিজেই। অনিশ্চয়তার ভেতর নিজের সন্তানকে এভাবে কি রেখে যাওয়া যায়? যায় না। চার-পাঁচদিন বাবা-মা-ছেলের ত্রিমুখী বাদানুবাদ চলতে চলতেই একটা সুখবর আসে। সাতের দিন শেষে শ্রীনগরে অস্ত্রের ব্যবহার আজ থেকে বন্ধ হয়েছে।

৪.
একেতো ছয় দফার ফলে বাম দলগুলোর মধ্যে বিভিন্ন প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। সে চিন্তায় বুঁদ, তারওপর হরিপদর প্রশ্ন বাবাকে কাটা ঘায়ে নুনের ছিটার মতো লাগে। হরিপদ ঠেলতে ঠেলতে বাবাকে বলে-বাপ, তুমি নাকি আজনীতি করব্যার লাগিচো। কিয়ের রাজনীতি বাপ? আজনীতি করি কি হ? হামি ককনুই আজনীতি করমু না।
ক্যা?
এ্যাই দ্যাকো দ্যাকো, আজনীতি করলি পালাই থাকতি হ। আমি আজনীতি করি তুমার মুতন পালাই থাকতি চাই ন্যা।

    হরিপদ বাবার মধ্যে আজ একটা পরিবর্তন লক্ষ করে। মায়ের মধ্যেও। কিন্তু কারণটা বুঝতে পারে না। দেশের শাসন ব্যবস্থা, রাজনীতি, পরিবেশ, প্রতিবেশ সম্বন্ধে একটু আধটু তো এখন বোঝেই। হরিপদ শুনেছে আজ শেখ মুজিবসহ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় সব আসামিরাই শুধু নয়, মণিসিংহসহ সকল রাজনন্দিদের মুক্তি দিয়েছে। হরিপদ মনে মনে ভাবে-বাপ তো মণিসিংহকে একদিন বাড়িত লিয়ে আইছিলেন, তাঁর মুক্তির জন্যিই কি এইত্তো খুশি? কিন্তু মাও!
মা এগিয়ে এসে হরিপদকে জড়িয়ে ধরেন।
বুইচ্চি বাপের খুশির কারণ, কিন্তু তুমি কি লিয়ে এত্ত খুশি?

    আসাদের মৃত্যুতে তিনদিনের শোক পূর্ববাংলার মানুষের চোখকে জলের সংসারে পরিণত করে। সামরিক অভ্যুত্থান, তারপর গণ-অভ্যুত্থান এবং গণ-অভ্যুত্থানের ফলশ্রুতিতেই পূর্ব পাকিস্তানকে বাংলাদেশ ঘোষণা হরিপদর মাকে নতুন স্বপ্নের পথ দেখায়। যে স্বপ্নের কথা হরিপদকে বলতে গিয়েও থমকে যায়। হরিপদ তার মাকে দেয়া নানার রেডিওটা নিয়ে আয়েসী ভঙ্গিতে বলতে থাকে-মা মা রেডিওতে আবার রবীন্দ্রসংগীত হচ্ছে।

আজ এমন দিনে মা নিশ্চয় বারণ করবেন না তাকে বৈশাখী মেলায় যাওয়ার জন্য। কয়েক বছর হলে জব্বার মিয়ার বায়োস্কোপ দেখা হয় না। জব্বার মিয়া নিশ্চয়ই মেলায় আসবেন। ছোটবেলায় হাড়ির চাল চুরি করে বায়োস্কোপ দেখায় বাবার পিটুনির দাগ আজো উরুতে সাক্ষি হয়ে রয়েছে। তবুও তার বায়োস্কোর দেখার প্রবল ইচ্ছা জাগে। আরো মনে পড়ে মণ্ডলের বাড়ির আমবাগানের কথা। যে দৃশ্যটা মনে পড়লে গা হিম হয়ে আসে। সবাই সেদিন পালিয়ে যেতে পারলেও হরিপদ পালাতে পারেনি। বাগানের কোচোয়ান হরিপদকে সরারাত সেই আমগাছের সাথে বেঁধে রেখেছিল।

    হরিপদর কল্পনায় ভেসে ওঠে-সে জব্বার মিয়ার বায়োস্কোপের বাক্সের মাঝের মুখোতে চোখ ঢুকিয়ে দেখছে। জব্বার মিয়া বামহাতে ঝনঝনি বাজাচ্ছেন। পাশে তার ছেলে জলিল মিয়া হ্যান্ডেল ঘুরাচ্ছে আর সুরেলা কণ্ঠে বাজছে জব্বার মিয়ার বায়োস্কোপের গান-

তার পরে তো দেখা গেল
তাজ মহল আইসা গেল,
তার পরে তো দেখা গেল
মক্কা শরীফ আইসা গেল

বাংলাদেশ সময়: ১২৪২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০১৭
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।