ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

হ্যান্ডশেক বা করমর্দন রীতি যেভাবে চালু হয়

ইচ্ছেঘুড়ি ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২০ ঘণ্টা, জুলাই ৪, ২০১৭
হ্যান্ডশেক বা করমর্দন রীতি যেভাবে চালু হয় হ্যান্ডশেক

ঢাকা: আমরা অনেকদিন পর কারও সঙ্গে দেখা হলে কিংবা কোনো সৌজন্য সাক্ষাতে একে অন্যের সঙ্গে হাত মিলিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করি। একে বলা হয় হ্যান্ডশেক বা করমর্দন। এ রীতি সেই আদিকালের।

জানা যায়, আদিকাল থেকেই মানুষ হাতকে শক্তি ও ক্ষমতার প্রতীক মনে করতো। শত্রুর সঙ্গে যুদ্ধ করতে গেলেও হাত ছিলো প্রধান অস্ত্র।

তখনও ভাষা মানুষকে সমৃদ্ধ করেনি। আবার একে অন্যকে বিশ্বাস করে বোঝাতেও করমর্দন করা হতো বলে গল্প চালু রয়েছে।

সে সময় কোনো কারণে একে অন্যের দিকে হাত বাড়ালে মনে করা হতো বন্ধুত্ব ‍ও শুভেচ্ছার বার্তা। আর এই রীতি প্রথম চালু হয় ইউরোপের শিল্প-সংস্কৃতি-সভ্যতার অন্যতম ধারক-বাহক গ্রিসে।

গ্রিসে এই রীতি চলতে চলতে এমন জনপ্রিয় হয়ে ওঠে যে পরবর্তীতে তা ছড়িয়ে পড়ে গোটা বিশ্বে। হয়ে যায় একটি সাধারণ প্রথা বা রীতি।

আমরা এখন যখনই কোনো পরিচিতজনের সঙ্গে মিলিত হই তখন স্বয়ংক্রিয়ভাবেই ডান হাত বাড়িয়ে অভ্যর্থনা জানাই।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ফ্রাংলিন রুজভেল্ট ১৯০৭ সালের ১ জানুয়ারি ৮ হাজার ৫শ ১৩ জনের সঙ্গে হ্যান্ডশেক করে বিশ্বরেকর্ড করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১১ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০১৭
এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।