ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

ইচ্ছেঘুড়ি

রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৫৫)

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৭
রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৫৫) রহস্য দ্বীপ

[পূর্বপ্রকাশের পর]
বলছি! অসহায় বুড়ো ডেইজির দুধ দোয়াতে হবে! গোগ্রাসে নাস্তা গিলতে গিলতে গরম কোকায় চুমুক দিয়ে জ্যাক বলে।
হঠাৎই নোরা চিৎকার করে আঙুল তাক করে তার পেছনে দেখায়। জ্যাক পেছন ফেরে আর অবাক হয়ে দেখে গাভীটা হেঁটে হেঁটে তার দিকে এগিয়ে আসছে! 

তুমি সময় মতো ওর দুধ দুইয়ে দাওনি তাই সেই তোমার কাছে চলে এসেছে! পেগি হাসে।  খুব ভালো বুড়ো ডেইজি! সুন্দরী তার পথ চিনছে!

১১. বিপদে পড়লো নোরা
দ্বীপে প্রতিদিন অসংখ্য কাজ পড়ে থাকে।

ডেইজির দুধ দোয়াতে হয়, মুরগি দেখাশোনা করতে হয়। মাছ ধরার ছিপ দিয়ে টোপ পাতার পর দিনে দু’তিনবার গিয়ে দেখে আসতে হয়, আগুন ধরিয়ে রাখতে হয়, খাবার তৈরি করতে হয় এবং বাসনপত্র ধুতে হয়। প্রতিদিন উইলো বাড়ি পরিপাটি করে রাখতে হয়। অবাক করা বিষয় হলো বাচ্চারা ওখানে ঘণ্টাখানেক থাকলেও ঘরটা খুবই আগোছালো হয়ে পড়ে।  

আমি প্রতিদিন সকালে ডেইজির দুধ দোয়াবো আর সন্ধ্যায় মাইক ওর দুধ দোয়াবে, সকালে সবাই একসঙ্গে নাস্তা করতে বসলে জ্যাক কথাটা বলে। নোরা, তুমি মুরগি দেখাশোনা করবে। শুধু খাবার খাওয়ানো, পানি দেওয়া আর ডিম সংগ্রহ করলেই হবে না, মুরগির উঠানের চারপাশের বেড়ার দিকেও সতর্ক দৃষ্টি রাখা চাই, যাতে ফার্ন সরিয়ে ফুটো ফাঁটা দিয়ে ওরা বেরিয়ে যেতে না পারে। মুরগি হারাক সেটা আমরা চাই না!

পেগি তাহলে কী করবে? নোরা জানতে চায়।  

পেগি বাড়তি এটা-সেটা করবে, জ্যাক বলে। ও আগুন ধরাবে, খাবার রান্না করবে এবং সবকিছু গোছগাছ করে রাখবে। একটু পরপর আমাদের একেকজন পাহাড়ে গিয়ে দেখে আসবে কেউ এদিকটায় বেড়াতে আসছে কিনা। শেষবার আমাদের বুদ্ধিটা পুরোপুরি কাজে লেগেছিল, তবে আমরা যথেষ্ট ভাগ্যবান যে নৌকাটিকে অনেক আগেভাগেই আসতে দেখেছিলাম। সময়মতো ওটাকে দেখতে না পেলে আমরা ধরা পড়ে যেতাম!

যাই গিয়ে ঝুলন্ত ঝোপের যেখানে আমাদের নৌকাটা লুকিয়ে রেখেছিলাম সেখান থেকে ওটাকে নিয়ে আসি, তাই না? কোকা শেষ করে, মাইক বলে।

না, জ্যাক বলে। দরকার ছাড়া ওটাকে সব সময় লুকিয়ে রাখাই ভালো হবে। এখন আমি ডেইজির দুধ দোয়াবো!

সে চলে যায়, আর বাচ্চারা সসপ্যানে মাখনওয়ালা দুধ ছিটকে পড়ার স্বাগত শব্দ শুনতে পায়, কারণ তাদের এখনও দুধ দোয়াবার কোনো বালতি নেই। মাইক ও জ্যাক ঠিক করে যেকরেই হোক রাতে ওরা একটা বালতি নিয়ে আসবে। কেটলি আর সসপ্যানে একটা গরুর দুধ দোয়ানো খুব ঝামেলার কাজ!

পেগি গোছগাছ করে বাসন ধুতে বসে। নোরা তাকে সাহায্য করতে চায়, কিন্তু পেগি তাকে মুরগির খাবার দিতে যেতে বলে। তাই সে মুরগির মতো ডাকতে ডাকতে চলে যায়। বেড়া পেরিয়ে ছোট্ট উঠানটায় ঢুকবার সময় মুরগিগুলো ওরদিকে ছুটে আসে।

নোরা ওদের জন্য শস্যদানা ছিটায়, আর ওরা তা ঠুকরে খেতে শুরু করে, কোনোটা বাদ গেলো কিনা তাই পায়ের শক্ত নখ দিয়ে মাটিতে খুব করে আঁচড় কাটে। নোরা ওদের সামান্য জলও দেয়। তারপর সে বেড়াটা ঠিক আছে কিনা তা ঘুরে ঘুরে দেখে।  
ইচ্ছেঘুড়ি
বাংলাদেশ সময়: ১৯১১ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৭
এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।