ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

মনের রঙে ক্যানভাস রাঙালো শিশুরা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৪৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ৬, ২০১৭
মনের রঙে ক্যানভাস রাঙালো শিশুরা শিশু দিবসে শিশু আঁকিয়েদের মেলা শিল্পকলায়/ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: নার্সারির ছাত্রী গুনগুন। রং-তুলিতে এঁকেছে বাংলাদেশের পতাকা। পাশেই মিরপুরের মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী অবন্তিকা রায় ও মধ্য পীরেরবাগের ফুলকি নার্সারি স্কুলের কেজি ওয়ানের অংকুর রায়। তারা এঁকেছে শহীদ মিনার। এসব ছবি ছাড়াও গ্রাম, নদী, পালতোলা নৌকা, কাশবন, স্মৃতিসৌধসহ নিজের মনের মতো রঙে বিভিন্ন ধরনের ছবি এঁকেছে শতাধিক শিশু।

শুক্রবার (৬ অক্টোবর) সকালে বিশ্ব শিশু দিবস ২০১৭ উপলক্ষে শিল্পকলা একাডেমিতে তারা এসব ছবি আঁকে।

কেন্দ্রীয় খেলাঘরের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রেলমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক।

সংস্কৃতি বিকাশে খেলাঘরের কার্যক্রম ও অবদানের প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, খেলাঘর দেশের একটি ঐহিত্যবাহী প্রাচীন সংগঠন। সংগঠনটি তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দেশের সংস্কৃতি বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এছাড়া খেলাঘরের মধ্য দিয়ে সংস্কৃতিচর্চার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা দেশের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে।  

শিশু দিবসে শিশু আঁকিয়েদের মেলা শিল্পকলায়/ছবি: জিএম মুজিবুরখেলাঘরের কোনো স্থায়ী কার্যালয় না থাকায় অনুষ্ঠানে খেলাঘরের জন্য নির্দিষ্ট একটি জায়গা বরাদ্দের ঘোষণা দেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রেলমন্ত্রণালয়ের অধীন একটি জায়গা ঢাকার মধ্যে খেলাঘরের জন্য বরাদ্দের ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এসময় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন শিল্পী সমরজিৎ রায় চৌধুরী এবং শিল্পী আবুল বারাক আলভী।

প্রতিযোগিতায় সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খেলাঘর কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতিমণ্ডলীর চেয়ারম্যান অধ্যাপক পান্না কায়সার। তিনি বলেন, ছবি আঁকলে মনের বিকাশ ঘটে। শিশুরা তার নিজের দেখা প্রকৃতিকেই রং-তুলির মধ্য দিয়ে ফুটিয়ে তোলে ক্যানভাসে।

বিশ্ব শিশু দিবস উপলক্ষে এসময় তিনি শিশুশ্রম ও শিশুদের প্রতি নির্যাতন বন্ধের জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।

শিশু দিবসে শিশু আঁকিয়েদের সঙ্গে মন্ত্রী/ছবি: জিএম মুজিবুরসভাপতির বক্তব্য শেষ হওয়ার একটু আগেই ঘণ্টা বাজলো সময় শেষের। সবাই মিলে তখন এগিয়ে ধরলো নিজেদের ছবিগুলো। আর সেই দৃশ্যকে ছবির বাগানের সঙ্গে তুলনা করলেন সভাপতি। বললেন, শিশুদের অঙ্কন যে কতো সুন্দর, মনোমুগ্ধকর আর স্নিগ্ধ, এগুলো যেন তারই প্রমাণ।

আর অভিভাবক সালেহ আহমেদ জানান, এ ধরনের প্রতিযোগিতা শিশুদের মানসিকতা বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।  

চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা শেষে অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে শিশুরা আবৃত্তি, গান, নাচ ও অভিনয়ে অংশগ্রহণ করে।

পরে বিজয়ী শিশু আঁকিয়েদের পুরস্কার তুলে দেয় কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসর।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০১৭
এইচএমএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।