ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৬৬)

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৭
রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৬৬) রহস্য দ্বীপ

[পূর্বপ্রকাশের পর]
নোরা ভালোমতোই সাঁতার শিখে নিয়েছে। যতদিন না জ্যাক বলেছে, ওরা মাইক আর তার মতোই সাঁতরাতে পারছে, ততদিন সে আর পেগি হ্রদে নেমে প্রতিদিন সাঁতার অভ্যাস করে। প্রতিদিন চেঁচামেচি আর হেসে হেসে এলোমেলো জলকেলি করতে করতে খুব শিগগিরই ওরা মাছের মতো ডোবাতে শুরু করে। জ্যাক ডুবসাঁতারে খুবই দক্ষ এবং হঠাৎ ডুব দিয়ে অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার পর তখনই আবার আরেকজনের পাশে উঠে এসে শক্ত করে দু’পা জাপটে ধরে! এতে সবাই খুব মজা পায়!

তারপর কিছু দিনের জন্য খারাপ আবহাওয়া বিরাজ করে। আকশে সূর্যের দেখা পাওয়া যায় না।

বাতাসে হালকা বৃষ্টির ফোঁটা ভেসে বেড়ানোয় সবকিছু ভেজা ভেজা লাগে। হ্রদের জল বরফ শীতল হয়ে আসে। দ্বীপটাকে তখন একেবারে অচেনা মনে হয়।

নোরার এসব মোটেই ভালোলাগে না। বৃষ্টির মাঝে সে মুরগিদের খাবার দিতে যাওয়া পছন্দ করে না। সে তার হয়ে পেগিকে কাজটা করতে বলে। কিন্তু জ্যাক তার কথা শুনে ক্ষেপে যায়।  

সব সময় আবহাওয়া ভালো থাকবে এমন কোনো কথা নেই, জ্যাক বলে। রোদ উঠলে আবারও মজা করা যাবে আর তখন হেসে হেসে কাজ করতে পারবে, তবে মন্দ আবহাওয়ার সময়ও তোমাকে একই কাজ করতে হবে!

আই, আই, ক্যাপ্টেন! নোরা বলে, সে সবে শিখছে আগের মতন তার অমন শিশুসুলভ আচরণ মোটেই ঠিক নয়। এরপর থেকে বৃষ্টির জল গলা বেয়ে নামলে বা তার বাদামি পিঠে ঠাণ্ডা বাতাস লাগলেও সে মনের আনন্দে মুরগিদের খাবার দিতে যায়।

বৃষ্টির সময় ওরা উইলো বাড়ির ভেতর একটানা শুয়ে বসে বিরক্তবোধ করে। এরই মধ্যে সঙ্গে আনা বই আর পত্র-পত্রিকা সব পড়ে শেষ এবং কিছুক্ষণ খেলাধুলা করার পর সারাদিন ওদের আর কিছুই করার থাকে না। পেগি সারাদিন একটানা সেলাই করতে মোটেই একঘেঁয়ে বোধ করে না।
 
সে নোরা আর ছেলেদের দেখায় কী করে ঝুড়ি বুনতে হয়। ওদের এসব অনেক বেশি বেশি করে দরকার, কারণ সাজিগুলো খুব বেশিদিন টেকে না। আর প্রতিদিনই রাজবেরি, স্ট্রবেরি, বা কালোজাম তুলতে যেতে হয়। মাইক, জ্যাক এবং নোরা ভাবে নানান ধরনের ঝুড়ি বোনা এলে খুবই মজার একটা কাজ। শিগগিরই ওরা নিজেদের পছন্দমতো একটা করে বেছে নিয়ে রোদেলা দিনের জন্য তৈরি হয়।

তারপর আবারও সূর্য ওঠে, আর বাচ্চারা রোদ পোহাতে বাইরে রোদের আলোয় গিয়ে শুয়ে আবারও গরম হয়ে নেয়। মুরগিরা ভেজা পালক ঝেড়ে খুশিতে কক্ কক্ করে ডাকতে শুরু করে। ডেইজি তার গাছের ছাউনির নিচ থেকে বেরিয়ে আসে। আনন্দে মৃদু হাম্বা হাম্বা করে ডাকে। আবারও চারদিক রঙে রঙে ভরে ওঠে আর শিশুরা আনন্দে চেঁচিয়ে ওঠে।

বৃষ্টিতে অঢেল শিম, মূলা, সরিষা ও ঝাল-শাক বেড়ে উঠেছে। জ্যাক ও মাইক প্রচুর ফসল তুলে আনে, আর সবাই বলে বৃষ্টিতে ফুলে-ফেঁপে টসটসে হয়ে ওঠা লেটুসের মতো মচমচে, রসালো, আর মিষ্টি স্বাদের এমন কোনো খাবার ওরা আগে কখনই খায়নি।

চলবে...

বাংলাদেশ সময়: ২২০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৭
এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।