ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

ইচ্ছেঘুড়ি

রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৬৮)

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০১৭
রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৬৮) রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৬৮)

কিছু হয়নি, দুধ গরম করতে করতে, পেগি বলে। ভাগ্য ভালো হাত পা ভাঙেনি!
এভাবেই, ছোট ছোট এতোসব রোমাঞ্চ, আনন্দ আর সুখ দুখের মাঝ দিয়ে দেখতে দেখতে গরমকাল পেরিয়ে যায়। দ্বীপে কেউই আর আসে না, তাই ধীরে ধীরে শিশুরাও কেউ তাদের খোঁজে আসবে সেই কথা ভুলে যায় এবং এ নিয়ে তাদের কেউ আর খুব বেশি একটা ভাবে না।

 

১৪. জ্যাকের কেনাকাটা
গরম চলে গেছে। দিন ধীরে ধীরে ছোট হয়ে আসে।

বাচ্চারা টের পায় সন্ধ্যার পর আগুনের সামনে বসে থেকেও সবসময় যথেষ্ট গরম থাকা যাচ্ছে না, ওরা তাই উইলো বাড়িতে গিয়ে বাতি জ্বেলে খেলতে বসে। ঘরটা সবসময়ই আরামদায়ক।
 
কয়েকটা জায়গা ভেঙে গিয়ে বাতাস ঢুকতে থাকায়, আবারও ওদের তা গুল্ম আর ফার্ন জড়ো করে মেরামত করতে হয়। বেড়ার কাজে যে ডালগুলো পোতা হয়েছিল সেগুলোতে সেকড় আসায় লাঠির এখানে সেখানে গুচ্ছ গুচ্ছ ছোট ছোট সরু সবুজ পাতা ধরেছে! বাচ্চারা ওসব দেখে আনন্দিত হয়। দেয়াল আর ছাদটা বেড়ে উঠছে দেখে ওরা খুব মজা পায়!

একদিন মাইক আৎকে ওঠে। লণ্ঠনের জন্য একটা মোম আনতে গিয়ে সে দেখে আর একটা মাত্র মোমবাতি রয়েছে! কেবল আগুন নিভে গেলে মাঝে মধ্যে ব্যবহার করে খুব সতর্কতার সঙ্গে খরচ করার পরও কয়েকটা মাত্র ম্যাচ বাকি থাকে।
 
জ্যাক, আমাদের হাতে একটা মাত্র মোম আছে, মাইক বলে।  
ঠিক আছে তাহলে কয়েকটা আনতে যেতে হবে, জ্যাক বলে।
কীভাবে?” মাইক জিজ্ঞেস করে, এগুলো তো আর গাছে ধরে না, তাই না!
জ্যাক বলতে চাইছে সে যাবে এবং কোথাও থেকে নিয়ে আসবে, পেগি বলে, সে তখন জ্যাকের ছেঁড়া শার্ট সেলাই করছে।  

রহস্য দ্বীপে তার বাক্সটা আনতে পারায় সে খুব খুশি। সে সবার কাপড়ের দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখছে, ছিঁড়ে টুকরো হতে দিচ্ছে না এবং ছেঁড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেলাই করে সারিয়ে তুলছে।  
কিন্তু দোকান ছাড়া ও মোমবাতি কোথায় পাবে? মাইক বলে।
আমিও সেটাই ভাবছি, গম্ভির স্বরে জ্যাক বলে। আমি খুব করে ভেবে দেখেছি। শরৎ আসছে। তখন আমাদের সন্ধ্যাবেলায় বেশি বেশি আলোর দরকার হবে। আরেকটা কম্বলও। তাছাড়া টুকটাক অনেক দরকারি জিনিসও দারকার।  

রিপুর কাজে আমার আরও বেশি উল আর কালো সুতো খুব বেশি দরকার, পেগি বলে। কালকে আমাকে তোমার ছাই-রঙা ট্রাউজারটা নীল উল দিয়ে সেলাই করতে হবে, জ্যাক।  
আর মুরগির জন্য খুবশীঘ্র কিছুটা ভুট্টাও লাগবে, নোরা বলে।

আর খানিকটা আটা পাওয়া গেলে খুব ভালো হতো, পেগি বলে। কারণ আমার কাছে ব্যাগ ভর্তি আটা থাকলে মাঝে মধ্যে আমি তোমাদের জন্য ছোট ছোট রুটি বানিয়ে দিতে পারতাম, রুটি খেতে খুব ইচ্ছে করছে, তোমার কি ইচ্ছে হচ্ছে না!

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৭
আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad